শিরোনাম
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

মিরপুরে বাসযাত্রীকে রাস্তায় ফেলে চাপা দিয়ে হত্যা

ফের দুই বাসের মধ্যে পড়ে নিহত পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথমে ধাক্কা দিয়ে বাসযাত্রীকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে, তারপর ওই যাত্রীর ওপর উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাস। এতে মারা গেছেন ওই যাত্রী। নিহত যাত্রীর নাম হুমায়ুন কবীর খান (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বিকাল চারটার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের ফলপট্টির সামনে।  নিহত হুমায়ুন কবীর সাতক্ষীরার রসুলপুরের আলী মুর্তজা খানের ছেলে। তিনি স্ত্রী রেবেকা বেগম, ছয় বছরের মেয়ে তাথৈ এবং ছয় মাসের ছেলে তীর্থকে নিয়ে মিরপুরের টোলারবাগের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। হুমায়ুন কবীর খানের সহকর্মী গাজী আমজাদ হোসেন জানান, দুপুরে তারা দুজন মতিঝিলে তাদের অফিস থেকে পেশাগত কাজে শিখর পরিবহনের একটি বাসে করে মিরপুর ১০ নম্বরে যান। তাদের বাসের সঙ্গে আলিফ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৯৮৪) রোকেয়া সরণি থেকে প্রতিযোগিতা করে আসছিল। বাস দুটি মিরপুর ১০ গোলচত্বরের সিগন্যালে থামলে তারা দুজনসহ শিখর পরিবহনের বাসের কয়েকজন যাত্রী নেমে এসে আলিফ পরিবহনের সামনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় সিগন্যাল ছেড়ে দিলে আলিফ পরিবহনের বাসের সহকারী সেলিম সামনে থাকা হুমায়ুন কবীরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে  সেলিমের ইশারায় আলিফ পরিবহনের চালক তার শরীরের ওপর বাস তুলে দেন। পরে আশপাশের লোকজন বাসটি আটক করেন এবং মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুন কবীরকে উদ্ধার করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আবারও দুই বাসের চাপায় নিহত পুলিশ : রাজধানীর গুলিস্তানে দুই গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল পুলিশ কনস্টেবল এম এ জুলহাসের (৩৫)। গতকাল সকাল পৌনে ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভেনিউর মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে। এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলিস্তান কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দুই গাড়ির চাপায় মারা যান হুমায়ুন কবির (৫৩) নামে এক কমিউনিটি পুলিশ সদস্য। পল্টন মডেল থানার ওসি মোর্শেদ আলম বলেন, সকালে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভেনিউ মোড়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন জুলহাস। এ সময় তিনি দুই গাড়ির মাঝখানে চাপা পড়েন।

সর্বশেষ খবর