শিরোনাম
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ছাত্রী লাঞ্ছনায় পুলিশের তদন্তে প্রমাণ মেলেনি, বিচার বিভাগীয় তদন্তে সত্যতা

চা-দোকানির মৃত্যুতে ওসিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে লাঞ্ছনার ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি রাজধানীর আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার হালদারের জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছেন। ঢাকা মহানগর হাকিম এমদাদুল হকের তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে আসে।

এর আগে একই ঘটনায় তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাবিবুন নবী আনিসুর রশিদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি রবিবার বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে ৩১ জানুয়ারি আদাবর থানার এসআই রতন কুমার হালদার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরদিন রতন কুমারকে  সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যে দোকানে ওই ছাত্রী হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই দোকান মালিক নিজেই জানিয়েছেন, তার দোকানে এমন কিছু ঘটেনি। আশপাশের লোকজনও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রমাণ দিতে পারেননি। তাই হেনস্থার অভিযোগ থেকে রতন কুমারকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হলো। তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসআই রতনের আচরণ ছিল অপেশাদার।

চা দোকানির মৃত্যুতে ওসিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ : রাজধানীর শাহআলীতে চাঁদা না পেয়ে বাবুল মাতুব্বর নামে চা-বিক্রেতার গায়ে আগুন ধরিয়ে ‘হত্যা’র ঘটনায় শাহআলী থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ‘বিভাগীয় শাস্তি’র সুপারিশ করেছে পুলিশের মিরপুর বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি। মিরপুর বিভাগের এডিসি মাসুদ আহমদ খানকে প্রধান করে গঠিত দুই সদস্যের এ কমিটি গত সন্ধ্যায় ডিসি কায়ুমুজ্জামান খানের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন— শাহআলী থানার তৎকালীন (ওসি) এ কে এম শাহীন মণ্ডল, এসআই মমিনুর রহমান খান, নেয়াজ উদ্দিন মোল্লা, এএসআই দেবেন্দ্রনাথ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন। এর আগে ডিএমপির গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর