শিরোনাম
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘বিচার বিভাগকে সঠিক রাস্তায় নেওয়ার চেষ্টায় প্রধান বিচারপতি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচার বিভাগের সংস্কারে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার গৃহীত পদক্ষেপকে সমর্থন দিতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি (এস কে সিনহা) বিচার বিভাগকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনাদের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। আপনারা বিচার বিভাগকে রক্ষা করুন।

গতকাল ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বিরাজমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী এ আহ্বান জানান। রাজধানীতে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এর আয়োজন করে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি সুপ্রিমকোর্ট শাখা। আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ড. শাহদীন মালিক, সুব্রত চৌধুরী, এস এম খসরুজ্জামান, জাহিদুল বারী প্রমুখ।  অবসরের পরে রায় লেখা প্রসঙ্গে বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমি মনে করি না যে অবসরের পর রায় লেখা বেআইনি। তবে অবসরের পর রায় বা আদেশ পরিবর্তন করা যাবে না। দেড় বছর পরে কেউ যদি রাতের অন্ধকারে রায় বা আদেশের অংশবিশেষ পরিবর্তন করে লেখেন তবে তা হবে ফৌজদারি অপরাধ। আদেশের অংশ পরিবর্তন করতে হলে রিভিউ করতে হবে। এ কারণেই হয়তো প্রধান বিচারপতি বলেছেন অবসরের পর রায় লেখা বেআইনি। অবসরের পর রায় লেখা যাবে কি যাবে না সে বিষয়ে একটা রুল (বিধান) থাকা দরকার। আশা করি প্রধান বিচারপতি এটা করে দেবেন।

আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা রাজনীতি করবেন কিন্তু তা আদালতের বাইরে। আদালত অঙ্গনে আপনাদের পরিচয় আপনারা আইনজীবী। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আপনারা কাজ করবেন। জুডিশিয়ারি বাঁচাতে হলে আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।

সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানকে সমুন্নত রাখা এবং দেশের ১৬ কোটি জনগণের অধিকার রক্ষার জন্যই এই সুপ্রিমকোর্টের সৃষ্টি। এই সুপ্রিমকোর্ট ও সংবিধানকে যারা ধ্বংসের চেষ্টা করছেন জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। আইনজীবীদের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, আমি সারাজীবন দল করেছি, মন্ত্রী হয়েছি কিন্তু কখনো সুপ্রিমকোর্টে এসে দলীয় পরিচয় দিইনি। তিনি বলেন, দলীয় পরিচয় দিয়ে যেসব আইনজীবী কোর্টে ঘুরে বেড়ান, তাদের রোগে আক্রান্ত না হওয়াই ভালো। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর