শিরোনাম
সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

মৌমাছি চাষ করে মধু আহরণ

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

মৌমাছি চাষ করে মধু আহরণ

কুষ্টিয়াসহ পাশের ছয় জেলায় সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি চাষ করে মধু আহরণ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে একদিকে যেমন বিপুল মানসম্মত মধু উত্পাদন হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষেতে মৌমাছি বিচরণের ফলে পরাগায়নের মাধ্যমে বাড়ছে সরিষার ফলন। সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিলে সরিষার উত্পাদন বাড়ার পাশাপাশি বিপুল মধু বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কুষ্টিয়ার বিত্তিপাড়ায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দুই পাশজুড়ে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত। এর মাঝেই এক মাস আগে বসানো হয়েছে মৌমাছি চাষের ২০০ বাক্স। মৌমাছির দল আশপাশের সরিষা ক্ষেতে উড়ে উড়ে মধু সংগ্রহ করে বাক্সবন্দী মৌচাকে জমা করছে। আর সেখান থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হচ্ছে মানসম্মত সুস্বাদু মধু। মধু খামারি শাহজাহান আলী জানান, দেড় মাস ধরে এ মধু সংগ্রহ চলবে। তিনি আশা করছেন এর থেকে কমপক্ষে ৪ টন মধু উত্পাদন হবে। তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে এ মধু ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে উত্পাদিত মধুর বেশির ভাগই ভারতে রপ্তানি করা হয়। পরে এ মধু ভারতের ডাবর কোম্পানিসহ বিভিন্ন কোম্পানির নামে বাজারজাত হয়। আর এ মধুই বাংলাদেশে কিনতে হয় ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে। স্থানীয় কৃষক হারুন আলী জানান, মৌ চাষের এ দৃশ্য তাদের উদ্বুদ্ধ করছে। আগামীতে তারাও এ পদ্ধতিতে মধু আহরণের উদ্যোগ নেবেন। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, শুধু বিত্তিপাড়া নয়, কুষ্টিয়ার বড়িয়াসহ পশ্চিমের ছয় জেলা তথা মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় এ মৌসুমে ২ হাজার বাক্স বসিয়ে সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষ করা হচ্ছে। এর থেকে উত্পাদন হবে কমপক্ষে ৫০ টন মধু। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক খায়রুল আবরার জানান, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও যশোরে মোট ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। সব সরিষা ক্ষেত মৌচাষের আওতায় আনলে বিপুল মধু আহরণের মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহারুজ্জামান জানান, ক্ষেতের পাশে লাখ লাখ মৌমাছি থাকায় তারা ফুলে ফুলে বসে সুষ্ঠু পরাগায়নে সাহায্য করছে। এতে সরিষার ফলন ২৫-৩০ ভাগ বেড়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর