শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

জিয়াকে জড়িয়ে বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে একটি মহল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাকে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল সকালে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ সংগঠনের নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে সকালে জিয়ার কবরে ফুল দেন ফখরুল। এ সময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল   কবির খোকন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা এজমল হোসেন পাইলট, তারেক-উজ-জামান তারেক, ফয়সল আহমেদ সজল, মামুন বিল্লাহ, ইফতিখার রহমান কবির, আসাদুজ্জামান আসাদ, মিয়া মো. রাসেল, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আমিরুল ইসলাম ইমনের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের একটি বিশাল শোডাউন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি দেশে অন্তত ৪০টি শিশু খুন হয়েছে।? এতে প্রমাণ হয় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আশাবাদী নয়। তার পরও দল নির্বাচনে যাচ্ছে। দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। যথাসময়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। দলের জাতীয় কাউন্সিলের বিষয়ে তিনি বলেন, কাউন্সিল করার জন্য তারা তিনটি জায়গায় অনুমতি চেয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অনুমতি পাননি। তবে আশা করছেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সরকার বিএনপিকে কাউন্সিলের অনুমতি দেবে।  জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সঙ্গে ‘কনফেডারেশন’ করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে যে অভিযোগ সরকারদলীয় একজন সংসদ সদস্য করেছেন, তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মূল সংকট’ থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে জিয়াকে ‘অন্যভাবে উপস্থাপনের’ চেষ্টা করছেন ক্ষমতাসীনরা। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বীর-উত্তম উপাধি পেয়েছেন। পরবর্তীতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। এই মানুষটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অন্যভাবে চিহ্নিত করতে চাইলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।

সর্বশেষ খবর