শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
চালান জালিয়াতি

জাইকার দেওয়া ভ্যাট পায়নি সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী অংশীদার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি—জাইকার দেওয়া ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি। মূল্য সংযোজন কর—মূসক বা ভ্যাট-১১ চালান জালিয়াতি করে একটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ করেছে। জাইকার আবেদনের পর তদন্তে এর প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদফতর— ডেডো। সরকারের রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড—এনবিআর সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি কোনো দূতাবাস ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু রাজস্বসুবিধা এক দেশ আরেক দেশকে দিয়ে থাকে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এ সুবিধা পায় জাইকা। এ দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে বন্ধু রাষ্ট্র জাপান ও জাইকার অবদান এবং তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতির কারণে বরাবরই গুরুত্বের সঙ্গে দেখে সরকার। তাই অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো দাফতরিক কেনাকাটার বিপরীতে দেওয়া ভ্যাট জাইকাকে ফেরত দেয় সরকার। জানা গেছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের কেনাকাটার বিপরীতে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া ভ্যাট ফেরত চেয়ে গত বছরের ১০ জুন ডেডোতে আবেদন করে জাইকা। প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের সঙ্গে দাখিল করা একটি মূসক-১১ চালানে অন্তর্ভুক্ত তথ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখে অর্থ ফেরতের আগে তদন্তে নামে ডেডো। তদন্তে ডেডো জানতে পারে, জাইকার দেওয়া ১ লাখ ৬৭ হাজার ১২৭ টাকার ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি ‘পার্টনার ইন সোস্যাল সেকমান ট্রা দেব—পিএসএসএমআরটিডি’। ভ্যাট চালানে দেওয়া রাজধানীর মগবাজারের ৪৮৭ নয়াটোলার ঠিকানায় পিএসএসএমআরটিডির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাটের সিদ্ধেশ্বরী সার্কেল। এ ছাড়া মূসক-১১ চালানে পিএসএসএমআরটিডির ভ্যাট নিবন্ধনের যে ১২ ডিজিটের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে, তা-ও সঠিক নয় বলে জানা গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে ভ্যাট ফাঁকিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসএসএমআরটিডির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে ঢাকা (দক্ষিণ) কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে ডেডো। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডেডোর মহাপরিচালক ফারজানা আফরোজ।

সর্বশেষ খবর