সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

জঙ্গি আটক, গ্রেনেড বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তিন মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শকের ওপর হামলা, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সদস্য গ্রেফতার। মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর আশপাশের এলাকায় অভিযানে গ্রেনেড ও শক্তিশালী বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের এসব ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বাড্ডা থানায় আটক শাহ আলম ও জামালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি, ডিবির কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় একটি এবং মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে বাড্ডার সাতারকুলে পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলায় একটি মেসে অভিযান চালায় ডিবি। অভিযানের সময় ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়। দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন ডিবির পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী। পরে মেসের বাসিন্দারা সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও সাতারকুল এলাকার অন্য একটি স্থান থেকে শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে হিরণ ও জামাল হোসেন ওরফে কামাল নামে দুজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। ডিবির দাবি, এই দুজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ের একটি বাড়ির পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ২০টি গ্রেনেড ও বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম, আশকোনা ও টঙ্গী থেকে গুলি এবং ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া সাতারকুল থেকে চাপাতি ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৯টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। উদ্ধার করা পাঁচ কেজি ওজনের একটি বোমা তুরাগ নদে নিষ্ক্রিয় করা হয়। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ডিবির অভিযানের পর ওই বাসার সামনে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাড্ডার মতো নবোদয় হাউজিংয়ের বি-ব্লকের ২৮ নম্বর বাড়িটির সামনেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর। জানা গেছে, ডিবির কর্মকর্তারা এসব স্থানে তদন্ত করছে। ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরকার বলেন, গত শুক্র ও শনিবারের ঘটনায় বাড্ডা থানায় দুটি ও মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর