সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পার্বতীপুরে জ্বালানি তেলের সন্ধান

দিনাজপুর প্রতিনিধি

পানির পাম্প বসাতে গিয়ে জ্বালানি তেল জাতীয় পদার্থের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। শনিবার বিকালে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বড়পুকুরিয়া খনিতে কর্মরত পেট্রোবাংলার লোকজন পরীক্ষার জন্য তেলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এ খবরে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন ওই বাড়িতে।

জেলার পার্বতীপুরের ভবানীপুর শেরপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য খাতিজার রহমানের বাড়িতে নলকূপ মিস্ত্রিরা পাইপ বসাতে গেলে পানির সঙ্গে মিশ্রিত জ্বালানি তেল জাতীয় পদার্থের সন্ধান পান বলে বাড়ির মালিক ও মিস্ত্রিরা দাবি করেন। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে শুক্রবার বিকালে নলকূপ মিস্ত্রিরা পাইপ বসাতে গেলে এ সন্ধান পান। খাতিজার     রহমান জানান, ২০০৫ সালে তিনি বাড়িটি নির্মাণ করেন। পানির চাহিদা পূরণের জন্য বাথরুম ও গোলাঘরের সংযোগস্থলে ২০১২ সালে ৬০ ফুট গভীর একটি নলকূপ বসান। কিন্তু ঠিকমতো পানি না ওঠায় প্রথম দফায় সেখানে প্রায় ১১০ ফুট গভীর সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করেন। কিন্তু সেখান থেকে ঘোলা ও লালচে রঙের খাওয়ার অনুপযোগী পানি বের হয়। একপর্যায়ে পাম্পটি অকেজো হয়ে পড়ে। নতুন আরেকটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হলে ৬ মাসের মাথায় একই পরিণতি হয়। এরপর থেকে বোরিংটি (খননকৃত স্থান) পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। বর্তমানে পানির স্তর আরও নেমে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় শুক্রবার বোরিংটি সংস্কার ও গভীর করে নতুনভাবে পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করা হলে বেলা ১টার দিকে পানি মিশ্রিত জ্বালানি তেল জাতীয় পদার্থের সন্ধান মেলে। বোরিংটির ৩৬ ফুট গভীরতা থেকে পানি মিশ্রিত জ্বালানি তেলের গন্ধযুক্ত তরল পদার্থের নমুনা তোলা হয়।

নলকূপ মিস্ত্রি জয়নাল আবেদিন বাবু ও খাতিজার রহমান দাবি করেন, শুক্রবার দুপুরে উত্তোলিত তরল পদার্থে ম্যাচের কাঠি জ্বালালে আগুনের শিখা জ্বলে ওঠে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ল্যাব ও জয়পুরহাটের জামালপুর কয়লাখনির বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে তরল পদার্থে জ্বালানি তেলের কোনো উপস্থিতি আছে কি না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর