বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

যুবলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে পায়ে গুলি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় যুবলীগের এক নেতাকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ যুবলীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম লিটনকে (৩০) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ দাবি করেছে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের সময় লিটন গুলিবিদ্ধ হন। লিটন শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই উপজেলার ডেমাজানী গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজেদুল জানান, তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করেন।   পাশাপাশি যুবলীগের রাজনীতি করেন। এক সপ্তাহ আগে ডেমাজানী গ্রামে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে মাঠের প্রধান ফটক খোলা নিয়ে শাজাহানপুর থানার ওসির সঙ্গে তার বাক?বিতণ্ডা হয়। এর পর থেকেই তিনি আতঙ্কে ছিলেন। সোমবার নিজ বাড়িতে রাত ১১টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাড়িতে গিয়ে ঘুম থেকে তাকে ডেকে তুলে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। চোখ বাঁধা অবস্থায় কিছু সময় হাজতখানায় রাখার পর মধ্যরাতে তাকে হাজতখানার বাইরে বের করে পায়ে গুলি করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাজেদুল বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। তবে শাজাহানপুর থানার ওসি আলমগীর হোসেন দাবি করেন, একটি হত্যা মামলায় এক আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজেদুলকে ধরতে সোমবার রাতে ডেমাজানী এলাকায় অভিযানে বের হয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে সাজেদুলকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধার ও সহযোগীদের ধরতে অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ বাধে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা এবং ১০-১২টি গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১২টি শটগানের গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন সাজেদুল। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাজেদুল এত দিন ডেমাজানী এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন বলে দাবি করেন ওসি। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। গুলিবিদ্ধ সাজেদুলকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর