শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ায় বিক্রি হওয়া ১৭ বাংলাদেশি উদ্ধার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ার পেনাং পুলিশ তামান দেসা মুরনি এলাকার একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিক্রি হওয়া ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে। গত সোমবার উদ্ধার হওয়া এসব বাংলাদেশির সবাই ভীষণ অসুস্থ এবং দুর্বল। পুলিশ প্রধান আবদুল গাফফার রজব বলেন, এদের শরীর খুবই খারাপ ছিল। কয়েক দিন ধরে শুধু রুটি আর ডাল খেয়ে  বেঁচে আছেন তারা। ঘুমানোর জন্য ছিল না কোনো বিছানা। সিমেন্টের শক্ত মাটিতেই ঘুমাতে হতো তাদের। এ ঘটনায় তিনজন মালয়েশীয়কে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে দেশটির পুলিশ বাহিনী।

মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম স্টার অনলাইন জানিয়েছে, আটক মালয়েশিয়ানদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বেগান লালাং এলাকার একটি কারখানা থেকে আরও ১০ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। এদের ওই কারখানার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। এই ২৭ জনের কাছে নেই মালয়েশিয়ায় কাজ করার ওয়ার্ক পারমিট। এমনকি নিজেদের পাসপোর্টও নেই তাদের কাছে। আছে শুধু পাসপোর্টের ফটোকপি। পুলিশপ্রধান জানান, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর।

ছয় বাংলাদেশির নৌকা সমুদ্র থেকেই ফেরাল অস্ট্রেলিয়া : মাছ ধরার নৌকায় অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করার পর ছয় বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার কুপাং শহর থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন এই ছয় বাংলাদেশি ও দুজন ইন্দোনেশীয় ক্রু। তিন দিন পর তারা অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করেন এবং এরপর নৌযানের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখ দেয়। অস্ট্রেলিয়ার সীমান্তরক্ষীরা তাদের উদ্ধার করে। পরে অস্ট্রেলিয়ার জাহাজে করে কয়েক দিন ভ্রমণের পর ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করে ইন্দোনেশিয়ার মাছ ধরার একটি নৌকায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়। ছয় বাংলাদেশিকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুই ইন্দোনেশীয় ক্রুকে ৯ কোটি ২০ লাখ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (৭০০০ মার্কিন ডলার) দেওয়া হয়।

 

ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় পুলিশপ্রধান টেডি জন সাহালা মারবুন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের জ্বালানি ও বিভিন্ন দ্রব্য দেয় এবং তাদের ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা টেঙ্গারা অঞ্চলে চলে যেতে বলে। তবে দুজন ক্রুকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ আনা হতে পারে এবং এ জন্য সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানায়, নৌযানের ক্যাপ্টেন ইসাই রানো অপরাধ স্বীকার করেছেন। ছয় বাংলাদেশি কীভাবে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করলেন, তা জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে অভিবাসন কর্মকর্তারা। পুলিশ কর্মকর্তা মারবুন বলেন, ‘তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে, কারণ তারা ইংরেজি ভাষায় প্রায় কথা বলতেই পারে না।’ ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরমানাথা নাসির বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড (ফেরত পাঠানো) সমর্থন করি না। এটা ভয়াবহ হতে পারে।’ তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসন বন্ধে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।

সর্বশেষ খবর