শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

যশোরে অস্ত্র ও গুলির বাঙ্কার!

পাওয়া গেল ১০ বোমা, ধারালো অস্ত্রসহ অনেক কিছু

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া বাজারের গাইদগাছি এলাকায় শিবিরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পেছনে বাঙ্কার নির্মাণের সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। এ সময় সেখান থেকে ১০টি বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, গাইদগাছি এলাকার রাশেদুল ইসলামের মেহগনি বাগানের ভিতর মাটির নিচে ৩৮ ফুট লম্বা, ১২ ফুট চওড়া ও ৮ ফুট গভীর একটি পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, দেখতে অস্ত্র ও বোমা রাখার বাঙ্কারের মতো লম্বা এ ঘরটিতে গতকাল দুপুরে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক, ১০টি বোমা, দুই কেজি জালের কাঠি, দুই কেজি কাচের টুকরো, আধা কেজি পটাশ, আড়াইশ’ গ্রাম সাইকেলের বল, ২০০ গ্রাম বারুদ, ১৫টি লাঠি, জামায়াতের গঠনতন্ত্র ও প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়। আটকরা হলেন, সাতক্ষীরার বিল্লাল হোসেন (১৮), খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার নুরুজ্জামান (২৬), শাহিন হোসেন (২২), ফারুক (২৪), শহিদুল ইসলাম (২৪), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধলিরগাতি এলাকার আবদুল খালেক (২৫), ইকরাম (২২), বিপ্লব হোসেন (২৫), সদর উপজেলার কেফায়েতনগর এলাকার আবদুস সালাম (২৭), আল আমিন (২৩) ও গাইদগাছি এলাকার টিটো (২৬) এবং খুলনার কয়রা উপজেলার কৈখালি এলাকার বাদশাহ (২৪)। আটকদের বেশির ভাগই নির্মাণশ্রমিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ওসি জানান। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর জেলা পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটি নির্মাণাধীন একটি বাড়ির বেজমেন্ট। নিচে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিল। এটিকে যদি পুলিশ বাঙ্কার বলে, তাহলে আর কিছুই বলার থাকে না।’ যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জমির মালিক জামায়াতের লোক। তার ছেলে শিবিরের ক্যাডার। আর মাটির নিচে নির্মাণাধীন ওই ঘরটিতে কোনো সিঁড়ি নেই। ফলে সন্দেহ হওয়াই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামায়াত-শিবিরের কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর