শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

স্থানীয় রাজনীতিতে কলুষিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

আকতারুজ্জামান

দেশের উচ্চশিক্ষার অনেক প্রতিষ্ঠানেই বৈরী পরিবেশের সৃষ্টি করছে স্থানীয় রাজনীতি। এতে বড় একটি স্থান দখল করে থাকছে ছাত্র সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ, শিক্ষক রাজনীতি। এ কারণে বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কলুষিত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।

ওয়াকিবহাল সূত্রগুলোর তথ্যানুযায়ী, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় ছাত্র ও শিক্ষক নেতারা মাঝেমধ্যেই ঘোলাটে করে তুলছেন পরিস্থিতি। আবার অনেক ক্যাম্পাসে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ইশারায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি। আর স্থানীয় রাজনীতির প্রভাবেই অনেক ক্ষেত্রে তারা বাগিয়ে নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি, টেন্ডার ইত্যাদি। এসব রাজনীতিক তাদের ফায়দা হাসিলে সুযোগ বুঝে অবস্থান নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের পক্ষে। এরপর এক পক্ষের পক্ষ নিয়ে বিপাকে ফেলছেন অন্য পক্ষকে। অসাধু রাজনীতিকরা নিয়োগ, টেন্ডারবাজি, বাণিজ্য করতে মাঝেমধ্যেই একটি পক্ষকে উসকে দিয়ে নষ্ট করছেন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। দেশের শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই রাজনীতিকরা একদিকে যেমন রাজনীতিকে কলুষিত করছেন, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়কেও কলুষিত করছেন।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে। অনেক সময় শিক্ষক নিয়োগেও হস্তক্ষেপ করে থাকেন এই অসাধু নেতারা। এভাবে কম মানের শিক্ষক নিয়োগ পেলে তিন প্রজন্মের ছাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা রাজনৈতিকভাবেই নির্বাচিত হন’ উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, কোনো সরকারের আমলেই নির্দলীয় উপাচার্য দেখতে পাওয়া যায় না। নিয়োগ পাওয়ার পর উপাচার্যরাই টিকে থাকতে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ মেইনটেন করেন। তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে যান। এ পরিস্থিতির উত্তরণে সব রাজনৈতিক দল মিলে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বার্থে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে। ‘ইউজিসি এ ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে কিনা’— এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্জুরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসি একটি ‘পোস্টঅফিস’ ছাড়া আর কিছু নয়। এরও চেয়ারম্যান সরকারি দল থেকে মনোনীত হন। তাই তারা এ ব্যাপারে কিছু করার আগ্রহ দেখান না। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্র রাজনীতিসহ নিয়োগসংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। গত ৩ ডিসেম্বর স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা নিজেদের প্রার্থী নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপ দেন। এদিকে উপাচার্যও তার নিজ প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধ করে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এ ছাড়াও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সিকিউরিটি গার্ড ও ডেইলি বেসিস কর্মচারী নিয়োগেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে চাপ প্রয়োগ করেন ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতারা। স্থানীয় এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কামরুল হাসান রিপন, দেবাশিস বিশ্বাস, গাজী আবু সাঈদ, নিজামউদ্দিন, ওমর ফারুক, সাইফুল ইসলাম আকন্দসহ অনেকে।

একইভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের রাজনীতি চলে মহানগর আওয়ামী লীগের ইশারায়। তাই রাবি ছাত্রলীগ বা হল কমিটিতে পদ পেতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নয়, বরং নেতা-কর্মীদের দৌড় থাকে মহানগর আওয়ামী লীগের দিকে। জানা যায়, গত বছর হল শাখা ছাত্রলীগের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেগুলো ঘোষণা করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের অফিস থেকে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার ও নিয়োগের ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা প্রভাব খাটান। আর এসব বিষয়ে উপাচার্য ও শিক্ষকদের সঙ্গে একাধিকবার অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ১৫ এপ্রিল রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে উপাচার্যকে টেবিল চাপড়ে শাসানোর অভিযোগ রয়েছে। এর পরদিনই উপাচার্যের ওপর চড়াও হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের দফতরে ডাবুল সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা এক শিক্ষককে ধাক্কা ও কয়েকজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চশিক্ষায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠটি সব সরকারের সময়ই অস্থিতিশীল থাকে। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ন্ত্রিত হয় দুই জেলার ক্ষমতাসীন নেতাদের দ্বারা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুযোগে রাজনৈতিক নেতারাই সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছেন এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকারের সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানের দ্বন্দ্বের জেরেই অস্থিতিশীল থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ছাত্রলীগ এখানে দুই ভাগে বিভক্ত। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ছাত্রলীগের নিজ গ্রুপকে একে অন্যের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুব-উল আলম হানিফ, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, শৈলকুপা আসনের এমপি আবদুল হাইসহ অন্তত এক ডজন স্থানীয় নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের একটি পক্ষের অভিযোগ, এক আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়োগ, টেন্ডার থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ অনেক কাজেও অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কিংবা ছাত্র উপদেষ্টা কে হবেন— তাও তিনি নির্ধারণ করে দিচ্ছেন! নিজ স্বার্থের প্রতিকূলে প্রশাসনে কেউ এলে ছাত্রলীগের একটি অংশকে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করে তুলছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী মর্তুজা সিদ্দিকী খসরুকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে চাউর রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ কোটি টাকার টেন্ডার ওই নেতার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী মর্তুজা সিদ্দিকী খসরু, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল খাঁ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির এক আত্মীয় বাগিয়ে নিয়েছেন। টেন্ডার পেতে তারা কয়েক দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে ১৭ ও ১৯ ডিসেম্বর টেন্ডারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন টেন্ডার না পেয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি শহর থেকে দূরবর্তী হওয়ায় বাসের চাকা না ঘুরলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে চলছেন। তাদের অনৈতিক দাবি পূরণ না হলে পরিবহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে ক্যাম্পাস অচল করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুটি ধারাও নিজ নিজ স্বার্থে বহিরাগতদের ব্যবহার করায় অরাজকতার সৃষ্টি হচ্ছে। একইভাবে অভিযোগ রয়েছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর মাঝেমধ্যেই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে স্থানীয়দের একটি অংশের অপরাজনীতির কারণে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ এবং আবাসিক হলের নামকরণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে একাধিকবার বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় একটানা কয়েক মাস বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয় সেশনজট। ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্বরে একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য স্থাপন করতে চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয় প্রতিক্রিয়াশীল একটি চক্র। ক্যাম্পাসের বাইরে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল আর আলটিমেটামের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুক্তিযুদ্ধ ভার্স্কয স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে শাবিপ্রবি-যবিপ্রবি (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ‘সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা’র সিদ্ধান্ত নিলে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। ‘সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা’র মাধ্যমে সিলেটী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা হ্রাস পাবে— এমন অভিযোগে এ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা। আন্দোলনকারীরা ভর্তি পরীক্ষার দিন সিলেট বিভাগে হরতাল ও ভর্তি পরীক্ষা প্রতিহতের ঘোষণা দিলে সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি স্থগিত করে উপাচার্য ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়ার নেতৃত্বাধীন শাবিপ্রবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতি এখনো অনেকটাই শহরমুখী। ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় বাইরে থেকে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ কর্মী সরবরাহ করেন স্থানীয় প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সংঘর্ষের সময় বন্দুকযুদ্ধে এক বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী নিহত এবং অন্তত ২০ কর্মী আহত হন। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থানীয়দের প্রভাব ও অযাচিত হস্তক্ষেপ সম্পর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ছাড়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব লক্ষণীয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় হওয়ায় ছাত্র রাজনীতিও অনেকটা একপেশে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে স্থানীয় মহলগুলোর চাপ থাকার কথা স্বীকার করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী। তবে তিনি বলেন, তারা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে কেউ এখানে নিয়োগ পান না।

এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় রাজনীতিকদের তেমন প্রভাব না থাকলেও সম্প্রতি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ঘিরে একটি বলয় গঠনের চেষ্টা করছে।

(এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন জবি প্রতিনিধি মাহবুব মমতাজী, রাবি প্রতিনিধি জয়শ্রী ভাদুড়ী, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান নয়ন ও ইবি প্রতিনিধি ইকবাল হোসাইন রুদ্র)

সর্বশেষ খবর