শিরোনাম
রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

অশ্রুসিক্ত অন্য এক প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অশ্রুসিক্ত অন্য এক প্রধানমন্ত্রী

খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর আলোচনা সভায় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভার শুরুতেই বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ মার্চের ভাষণের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় মঞ্চে বসা প্রধানমন্ত্রীকে বার বার চশমা খুলে চোখ মুছতে দেখা যায়। মঞ্চে ও মিলনায়তনের অনেকেই এ সময় চোখ মোছেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ জাতিকে পথ দেখিয়ে গেছে। এ ভাষণ আমাদের মাথা উঁচু করে চলার মনোবল এনে দেয় এবং যে কোনো অবস্থা মোকাবিলা করার, শত্রুকে দমন করার পথ শেখায়। ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নাশকতা, জঙ্গিবাদসহ অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে মর্যাদা পেয়েছে। বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না ইনশা আল্লাহ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাড়েবছ, এগিয়ে যাবেই। কালজয়ী সেই ভাষণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ঐতিহাসিক এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের পথের দিশারি, স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। যুগ যুগ ধরে এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করে যাড়েবছ, যার আবেদন আজও বিন্দুমাত্র কমেনি। এ আবেদন কখনো শেষ হয় না, হবেও না। একটি মাত্র ভাষণে বঙ্গবন্ধু দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, যা সত্যিই এক বিরল ঘটনা। তিনি বলেন, পরাজিত পাকিস্তানের সঙ্গে সংস্কৃতিসহ কোনো কিছুতেই এ দেশের মিল ছিল না। তারা শুধু এ দেশকে শোষণ, শাসন করছিল। তাই বঙ্গবন্ধু প্রথম থেকেই এ দেশকে স্বাধীন করতে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রাম করে গেছেন। আর ৭ মার্চের একটি মাত্র ভাষণে স্বাধীনতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আর তার পথ বেয়েই আসে আমাদের স্বাধীনতা। মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর কালোত্তীর্ণ ভাষণ : প্রস্তুতি ও প্রভাব’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশ নেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ও ট্রাস্টের সদস্যসচিব শেখ হাফিজুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুরা হোসেন। এ সময় মঞ্চে ছিলেন শিল্পী হাশেম খান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আগে পাকিস্তানিরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু একটা কিছু বলবেন, যার সূত্র ধরে তারা এ দেশে গণহত্যা চালাবেন।

সর্বশেষ খবর