অর্থাভাবে আটকে গেছে একাত্তরের বর্বরতা নামক বিশ্বের বৃহত্তম ভাস্কর্য পল্লীর নির্মাণ কাজ। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এই ভাস্কর্য পল্লী প্রদর্শনীর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থাভাবে ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় কবে নাগাদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হবে কিংবা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকা সম্পর্কে ধারণা দিতে ২০১৪ সালের নভেম্বরে ভাস্কর্য পল্লীটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এ শিল্পকর্মের মাধ্যমে একাত্তরে সংঘটিত ১০০টি ঘটনাকে একটি গ্রামের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা ও নৃশংসতার চিহ্ন হিসেবে গ্রামে থাকবে ককশিট ও শোলা দিয়ে নির্মিত এক হাজার ৭১টি প্রতীকী লাশ, ২৫০টি ছোট ঘর, চারটি গণকবর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের ভিতরে চলছে ভাস্কর্য তৈরির কাজ। ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে আট শতাধিক ভাস্কর্য। বিশাল এই শিল্প কর্মের উদ্যোক্তা শিল্পী মিন্টু দে। তার সঙ্গে রয়েছেন ২৬ জন সহকারী শিল্পী। মিন্টু দে বলেন, একাত্তরের বর্বরতা, নৃশংসতা ও হত্যাযজ্ঞের ভয়াল চিত্র নতুন প্রজন্ম ও জাতির কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে ব্যয় হবে প্রায় তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা। নিজের টাকা দিয়ে কাজের অনেকটা সম্পন্ন করেছি। তবে অর্থাভাবে এখন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন প্রকল্পের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে এটি নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রকল্পের জন্য কোনো আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়নি। স্বাধীনতার এই মাসে প্রকল্পের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কবে নাগাদ কাজ শেষ হয় তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।