বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

নৌকা ডোবাবে ছাত্রলীগ

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

নৌকা ডোবাবে ছাত্রলীগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বাড়ি। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ডোবাতে তত্পর বিএনপি আর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থী কবির আহমেদের ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তার সঙ্গে রয়েছেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্র দখল হওয়ার আশঙ্কা ইউনিয়নবাসীর। এর মধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। নৌকার নির্বাচন করায় এক মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়িছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। দুর্গারামপুরের একজন মুক্তিযোদ্ধা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নৌকা সমর্থক হওয়ায় হুমকি দেন বিএনপির শাহিন। আমতলীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাপ মিয়াকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগ সমর্থক জানান, আমরা সরকারি দল। যা আমাদের করা দরকার তা করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপির লোকজন। শহর থেকে বহিরাগতদের এনে কেন্দ্র দখল করবেন তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের বাইশমৌজায় বহিরাগতরা মিছিল নিয়ে মহড়া দেন। আনারস প্রতীকের প্রার্থী কবির হোসেনের সমর্থকরা জানান, কয়েক দিন আগে সন্ধ্যায় ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে ২০-২৫ জন বহিরাগত কবির আহমেদের পক্ষে মিছিল করেন। বহিরাগতরা জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় আসেন। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন। আওয়ামী লীগের জহির রায়হান, বিএনপির মো. ফালু, জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন খান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমেদ (ঘোড়া), কবির হোসেন (আনারস), আনোয়ারুল কাদির খসরু (চশমা)। আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহির রায়হান জানান, দুর্গারামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির প্রার্থী মো. ফালু মুক্তিযোদ্ধাদের হুমকিদানের অভিযোগ অস্বীকার করেন। কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার বাড়িতে মেহমান হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসেছিল। আমার বহিরাগতের কোনো দরকার নেই। বহিরাগতরা কি আমারে ভোট দিয়ে দেবে।’ নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ‘যেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী সেখানেই সমস্যা। বীরগাঁও ইউনিয়নে বহিরাগতরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, আগামীকাল (৩১ মার্চ) নবীনগর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। ১১ ইউনিয়নে ১০৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৬৬টি ঝুঁকিপূর্ণ। ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ১৩০ জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর