বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

এনবিআরের কর আদায় নিয়ে যমুনা গ্রুপের ব্যাখ্যা

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘যমুনা গ্রুপের কাছ থেকে ৭০০ কোটি টাকা আদায় করা হবে : এনবিআর’ শিরোনামের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়বস্তু সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে যমুনা গ্রুপ বলেছে, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রায় ১৬ বছর আগে যমুনা গ্রুপের ওই সময়কার সুনাম অর্জনকারী বিখ্যাত অ্যারোমেটিক কসমেটিক্সের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির দুটি অসত্য মামলা দায়ের করা হয়। ব্যক্তিগত আক্রোশে ২০০৩ সালে প্রভাবশালী একটি মহল হয়রানিমূলকভাবে এনবিআরের দায়ের করা অ্যারোমেটিকের ভুয়া মামলাটিকে বেছে নেয়। আর তাদের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক পর্যায়ে ওই বছরের শেষ দিকে মামলাটি এক দিনের মধ্যে শুনানি হয়েই একই দিন রায় হয়। রায় ভ্যাট কমিশনারের পক্ষে যায়। এরপর যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। কিন্তু মামলার অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল না থাকায় শেষমেশ মামলাটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জয়লাভ করতে পারবে না বলে ওই মহলটি সে সময় এ নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি করতে চায়নি। এরপর আসে বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেন সরকার। সে সময় কতভাবেই না ব্যবসায়ীদের হয়রান হতে হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন পন্থায় তথ্য-তালাশ করে যমুনা গ্রুপের বিরুদ্ধে কিছু না পেয়ে তারাও ক্ষান্ত হয়। আলোচ্য এ মামলাটি নিয়েও তারা পর্যালোচনা করে। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যারোমেটিক কোম্পানির বিরুদ্ধে উত্থাপিত এ মামলাটি কোনো ফল বয়ে আনবে না বলে সরকার শুনানি না করে ফেলে রাখে।

যমুনা গ্রুপের বক্তব্যে বলা হয় : এনবিআর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাসে ২% জরিমানার যে হিসাব কষা হয়েছে তা কোনো এক ভবিষ্যতের বিষয়। সব ধাপ শেষ করে যখন মামলাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে এবং রায় এনবিআরের পক্ষে গেলে তখন এ রকম জরিমানা হওয়ার কথা।

মামলাটি এখনো বিচারাধীন দাবি করে যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় : অ্যারোমেটিক কসমেটিক্সকে এ জরিমানা যদি দিতে হয় তাহলে প্রথমে আসবে কোম্পানিটির সামর্থ্যের বিষয়।... সেখানে টাকা পরিশোধের নির্ধারিত একটি সময়সীমার কথাও উল্লেখ থাকতে হবে। ওই সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় ডিমান্ড নোটে আইন উল্লেখ করে মাসিক ২% জরিমানার কথা তুলে ধরতে হবে। এরপর আরও ধাপ আছে। মামলাটি এখনো বিচারাধীন।

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের নামে পাঠানো ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে : আমার আইনজীবীর আইনগত ব্যাখ্যা ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নিজেও মনে করি, বাস্তবে এ মামলাটি এখনো চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। এর পরও আইনগতভাবে আমাদের অনেক ধাপ অতিক্রম করার সুযোগ রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মামলাটি যখন চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে তখন রায় যমুনা গ্রুপের পক্ষেই আসবে। বিজ্ঞপ্তি।

সর্বশেষ খবর