শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

গাড়ি-মোটরসাইকেলের মেলা বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাড়ি-মোটরসাইকেলের মেলা বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে

বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (বিআইসিসি) চলছে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বিশাল প্রদর্শনী। গতকাল রাজধানীর কুড়িলে কনভেনশন সিটিতে এ প্রদর্শনী শুরু হয়। দেশের মোটরশিল্পের তিনটি খাতের প্রদর্শনীতে চলছে ১১তম ঢাকা মোটর শো, দ্বিতীয় ঢাকা বাইক শো ও ঢাকা অটোপার্টস শো। সেমস গ্লোবাল আয়োজিত এ প্রদর্শনী চলবে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু করে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী। উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশে অটোমোটিভ, কার, বাইক ও অটো যন্ত্রাংশ শিল্পের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫টি দেশ অংশ নিয়েছে। প্রদর্শনীতে প্রায় ২০০টি স্টল রয়েছে, যেখানে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যাধুনিক গাড়ি, মোটরসাইকেল, লুব্রিকেন্ট, সিএনজি রূপান্তরসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং অটো যন্ত্রাংশ প্রদর্শন করছে। ক্রেতা, দর্শক ও উদ্যোক্তরা  ব্রান্ড নিউ গাড়ি, যন্ত্রাংশ, উপকরণ ও নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন। শুরুর দিন প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টলে ঘুরে দেখা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি-সংবলিত গাড়ি, মোটরসাইকেলের বিশাল সমাহার। ক্রেতাদের পাশাপাশি দেশের মোটরশিল্পের উদ্যোক্তারাও ঘুরে ঘুরে দেখছেন স্টল। মোটর-সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিভিন্ন সরঞ্জাম সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন স্টলকর্মীরা। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো দেশে উত্পাদিত মোটরসাইকেলের বিশাল সমাহার থেকে ক্রয় করতে পারবেন। কম মূল্যে গাড়ি ক্রয়ের জন্য ব্যাংকঋণের সহযোগিতাও করা হচ্ছে মেলায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অবৈধ মোটরসাইকেলে দেশ ভরে গেছে। মোটরসাইকেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি কমানো হবে। সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা রেজিস্ট্রেশন করে মোটরসাইকেল চালাবেন। রেজিস্ট্রেশন ফি আদায়ে কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটি আরও কমানো হবে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমি এখনো আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে রেজিস্ট্রেশন ফি আরও কমানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলছে প্রচুর। এটা চলতে পারে না। ব্যবসায়ীরা ভালো গাড়ি আমদানি করুন। তাহলে সব ফিটনেসবিহীন গাড়ি বাতিল করা হবে। ঢাকায় বড় ও পাবলিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নতুন সড়ক পরিবহন আইনে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নীতিমালায় কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। পরিবারপ্রতি গাড়ির ব্যবহারও নির্দিষ্ট করা হবে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘গাড়ির মালিক ও চালকদের শাস্তি বৃদ্ধি করে নতুন করে আইন করা হবে। আগামী অধিবেশনেই মোটর আইন চূড়ান্ত করা হবে। ইতিমধ্যে অধ্যাদেশ থেকে আইন করার জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

 সেখানে সবাই মতামত দিতে পারেন। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। মোবাইল ফোনে টুইট ও সিরিয়াস আলাপকালে রাস্তা পারাপার হবেন না। হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে চলাচলও বন্ধ করতে হবে। মোটরসাইকেল আরোহী ও চালক দুজনকেই হেলমেট পরতে হবে। গাড়ি এসে আপনাকে চাপা দিয়ে যাচ্ছে আর আপনি মোবাইল ফোনে টুইট ও সিরিয়াস আলাপ করছেন। এতে শুধু গাড়ির ওপর দায় নয়, আপনারও দায় আছে। ঢাকায় এখন অনেকেই সতর্ক হয়েছেন। এ জন্য হেলমেট ব্যবহার কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে এখনো হেলমেট ছাড়াই অহরহ মোটরসাইকেলে চলাচল করছে।’

সর্বশেষ খবর