সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

বিলুপ্তির পথে ১৫০ প্রজাতির প্রাণী

মোস্তফা কাজল

প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসংখ্যার অত্যধিক চাপে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য  হুমকির মুখে পড়ায় বিলুপ্তির পথে রয়েছে ১৫০ প্রজাতির পাখি ও বন্যপ্রাণী। এ ছাড়া এরই মধ্যে স্তন্যপায়ী প্রাণীর ১০টি, মেরুদণ্ডী প্রাণীর ১৩ প্রজাতি ও ৫৪ প্রজাতির মাছ জলাশয় থেকে হারিয়ে গেছে। পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণায় বলা হয়েছে, এক সময় দেশে স্তন্যপায়ী প্রাণীর ১১০টি প্রজাতি ছিল। এর মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ২৩টি। এর মধ্যে রয়েছে গণ্ডারের তিনটি, বনগরুর দুটি, নেকড়ে বাঘ ও হরিণের দুটি, বন মহিষ, নীলগাই ও পাখি প্রজাতির দুটি এবং সরীসৃপ এক প্রজাতির। অবশিষ্ট ৫৭টির মধ্যে ৪০টিরই এখন বিপন্ন দশা। তবে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে মাত্র ১৭টি প্রজাতি। একইভাবে হারিয়ে গেছে ১৩টি মেরুদণ্ডী প্রাণী। বাংলাদেশে এক সময় একশৃঙ্গী গণ্ডার, জাভা গণ্ডার, দ্বিশৃঙ্গী গণ্ডার, বুনোমোষ, নীলগাই, জলার হরিণ, শূকর হরিণ, নেকড়ে, গোলাপি মাথা পাতিহাঁস, ময়ূর ও মিঠাপানির কুমির দেখা গেলেও এখন আর এগুলো নেই। সরকারি এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সুন্দরবনের মোট সীমানার ৮৬ বর্গমাইলের সুন্দরী গাছ, ১৪৬ বর্গকিলোমিটারের গেওয়া গাছ কমে গেছে। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রাণী বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চল চলনবিল শীত মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়ায় অনেক জলচর পাখি অন্যত্র চলে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য মতে, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও প্রায় ৯০৩ প্রজাতির বন্যপ্রাণী টিকে আছে দেশে। এর মধ্যে বন বিভাগ ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে রয়েছে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আজ বন্যপ্রাণী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে বসছেন। এ বিষয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান সরকার বন্যপ্রাণী ও পাখি রক্ষায় এবং পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা সংরক্ষণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বিলুপ্তপ্রায় পাখি ও প্রাণী রক্ষায়ও নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সর্বশেষ খবর