মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
মানবতাবিরোধী অপরাধ

কিশোরগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের রায় যে কোনো দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কিশোরগঞ্জের শামসুদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে যে কোনো দিন। প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন         শেষে গতকাল বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে        শামসুদ্দিন ছাড়া সবাই পলাতক। বাকি চারজন হলেন— শামসুদ্দিনের ভাই ক্যাপ্টেন (অব.) মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, গাজী আবদুল মান্নান, আজহারুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দিন। মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির‌্যাতন, হত্যা, লুট ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি শামসুদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাসুদ রানা। পলাতক অপর চারজনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান শুনানিতে অংশ নেন। তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আসামি পক্ষে কোনো সাক্ষী ছিলেন না। গত বছরের ১২ অক্টোবর হত্যা, অপহরণ, নির‌্যাতন ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বছরের ১৩ মে মানবতাবিরোধী অপরাধে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ হচ্ছে—১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর ও আয়লা গ্রামের আটজনকে হত্যা ও একজনকে আহত করা। ১৩ নভেম্বর আয়লা গ্রামের মিয়া হোসেনকে হত্যা। একই উপজেলার মো. আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ২৬ সেপ্টেম্বর খুদির জঙ্গল ব্রিজে নিয়ে হত্যা। ২৩ আগস্ট উপজেলা ডাকবাংলোতে মো. ফজলুর রহমান মাস্টারকে অপহরণ, নির‌্যাতন ও হত্যা। ৭ সেপ্টেম্বর রামনগর গ্রামের পরেশ চন্দ্র সরকারকে হত্যা। ২৫ আগস্ট পূর্ব নবাইদ কালিপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক ও রূপালীকে অপহরণ করে নির‌্যাতন ও হত্যা। ১৫ সেপ্টেম্বর আতকাপাড়া গ্রামে আক্রমণ করে ২০-২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।

সর্বশেষ খবর