বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় রাঢ়াঙ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় রাঢ়াঙ

সাঁওতালদের জীবনকাহিনী নিয়ে আরণ্যক নাট্য সম্প্রদায় মঞ্চায়ন করেছে হূদয়স্পর্শী গল্পের নাটক ‘রাঢ়াঙ’। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় এই নাটকটি।

নাটকের গল্পে দেখা যায় তত্কালীন তানোর নামের এক লোকালয়ে সাঁওতালরা বাস করে। সেখানে তাদের কোনো নিজস্ব জমি নেই। পরের জমিতে চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের। সেখান থেকে বিশ্বম্বর নামক এক জোতদারের প্রলোভনে তারা তানোর ছেড়ে পাড়ি জমায় ভীমপুরে। জমি পাওয়ার আশায় তারা ছেড়ে যায় তাদের দীর্ঘদিনের বসতভিটা। কিন্তু ভীমপুরে গিয়েও তারা জমির কাগজ পায় না। জমি না দিলেও তাদের দিয়ে ঠিকই ফসল ফলিয়ে বড় অংশ জোতদার নিয়ে যায়। ধীরে ধীরে ক্ষোভ বাড়তে থাকে সাঁওতালদের মনে। এদিকে ভীমপুরের স্থানীয় আরেক জোতদার হাতেম আলী তার এলাকায় সাঁওতালদের মেনে নিতে পারেন না। বিভিন্নভাবে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালান। এমনকি সাঁওতালদের পেছনে পুলিশও লেলিয়ে দেন। এরই মধ্যে বিশ্বম্বরের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর বিশ্বম্বরের ভাইয়ের ছেলে গদাই হাতেম আলীর সঙ্গে মিলে সাঁওতালদের শোষণের ফন্দি আঁটেন। কিন্তু সাঁওতালরা যখন দেখে যে, হাতেম ও গদাইয়ের লোকজন না জানিয়ে তাদের ঘামে ফলানো ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে তখন তারা বিদ্রোহে ফেটে পড়ে। সাঁওতাল যুবক আলফ্রেড সরেনের নেতৃত্বে হাতেম ও গদাইয়ের সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে লড়াই বাধে। লড়াইয়ে করুণ পরাজয় ঘটে সাঁওতালদের। স্বপ্নভঙ্গ হয় সাঁওতালদের। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর