বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন

পদ্মা নদীর গভীর দিয়ে আসবে রামপালের বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেতু কর্তৃপক্ষের আপত্তি ও যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পদ্মা সেতু দিয়ে রামপালের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানা হচ্ছে না। এর পরিবর্তে দেড় কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর গভীর দিয়ে সেই সঞ্চালন লাইন টানা হবে। সুন্দরবনের পাশে রামপালের এই কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুেকন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আনতে ‘আমিনবাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ প্রকল্পসহ মোট নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মোট ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নদীর গভীর দিয়ে টানা হবে রামপালের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, যা সাভারের আমিনবাজার-মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং (মাওয়া) ও খুলনা, বাগেরহাটের মংলা দিয়ে আসবে। এই প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৫৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

এ ছাড়া এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং ভারতের সঙ্গে উচ্চ সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক জোন তৈরির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘ক্রসবর্ডার নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ নামে ২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকার আরও একটি প্রকল্প অনুমোদনের কথা জানান মন্ত্রী।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে দিনাজপুর-চিরিরবন্দর-পার্বতীপুর সড়ক প্রশস্তকরণ (জেড-৫০২৫) প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৩৪ কোটি টাকায় ঢাকার শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ের ভবন নির্মাণ প্রকল্প; ২৭৭ কোটি টাকায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প; ৪৪৯ কোটি টাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা সদর সংরক্ষণ প্রকল্প; ২১০ কোটি টাকায় পানি ভবন নির্মাণ প্রকল্প; ৩৪৭ কোটি টাকায় কিশোরগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৯০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প-১ম পর্যায়।

সর্বশেষ খবর