বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

হিলারি-ট্রাম্প এগিয়ে

প্রতিদিন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের প্রতিটিতে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনমতের এই পূর্বাভাস যদি সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে হিলারি তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের নাগালের বাইরে চলে যাবেন। সূত্র ইন্টারনেট। পাঁচটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের প্রতিটিতেই রয়েছে উল্লেখযোগ্য আফ্রিকান-আমেরিকান জনসংখ্যা। জনমত জরিপে এক রোড আইল্যান্ড ছাড়া বাকি চারটি রাজ্যেই হিলারি এগিয়ে। কোনো কোনোটিতে স্যান্ডার্সের সঙ্গে তার ব্যবধান ১০ বা তার চেয়েও বেশি পয়েন্ট। জনমত জরিপ অনুযায়ী, নির্বাচনে ট্রাম্প তার অবশিষ্ট দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ে ২০ পয়েন্ট (পেনসিলভানিয়া) থেকে ৩৭ পয়েন্টে (রোড আইল্যান্ড) এগিয়ে। যদি পাঁচ রাজ্যেই ট্রাম্প প্রত্যাশা অনুসারে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পান, ডেলিগেট গণনায় তিনি তার নির্ধারিত লক্ষ্য, অর্থাৎ ১ হাজার ২৩৭-এর কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন।

জরিপ সূত্রগুলো বলছে, একই রকম চমৎকার ফল দেখাতে পারলে ট্রাম্প হয়তো তার মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারবেন না। কিন্তু পেছন দরজা দিয়ে তাকে টপকে কেউ মনোনয়ন ছিনিয়ে নেবে— এমন সম্ভাবনা অনেকটাই কমে আসবে। বার্নি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী অভিযান যুক্তরাষ্ট্রে শহুরে শ্বেতকায় ও শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে জাগরণ এনেছে। কিন্তু নির্বাচনী সাফল্যে পরিণত হয়নি। প্রধান কারণ আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিক অভিবাসীরা তাকে কম সমর্থন দিয়েছে। অন্যদিকে এই সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ও পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীর সমর্থনের জোরে হিলারি প্রধান রাজ্যগুলোতে বড় জয় পেয়েছেন। এর সর্বশেষ উদাহরণ নিউইয়র্ক। এখানে তিনি স্যান্ডার্সকে ১৬ পয়েন্টে ধরাশায়ী করেন। প্রসঙ্গত, গতকালের নির্বাচনকে সামনে রেখে এই জনমত জরিপ প্রচার করা হয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই নির্বাচনের পর ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা আসবে আগামী ৩ মে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচনে। এক সপ্তাহ আগেও এই রাজ্যে ক্রুজ এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ জরিপে ট্রাম্প তাকে ৬ পয়েন্টে ছাড়িয়ে গেছেন। এখানে রয়েছেন ৫৭ জন ডেলিগেট, যার বেশির ভাগই যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, তার বাক্সে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর