শুক্রবার, ৬ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাত পোহালেই ইউপি ভোট

ঝিনাইদহে নিহত ১, হামলা ভোট বর্জন

গোলাম রাব্বানী

রাত পোহালেই ইউপি ভোট

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ শুক্রবার রাত পোহালে কাল চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণ। গতকাল এ ধাপের নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে দেশের ৭২৫ ইউপিতে। এর আগে ২২ মার্চ প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের জনপ্রিয় এ ভোট উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবমুখর এ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা-অজানা শঙ্কা রয়েছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় চতুর্থ ধাপের ভোট নিয়ে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপে ব্যাপক জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় শঙ্কিত প্রার্থীরা। অনেক প্রার্থী এ ধাপে কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। এ ছাড়া ভোট নিয়ে ৭২৫ ইউপিতে টানটান উত্তেজনা তো রয়েছেই। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, চতুর্থ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৩৩ প্রার্থী। এর আগে প্রথম ধাপে ৫৪ জন,  দ্বিতীয় ধাপে ৩৪ জন, তৃতীয় ধাপে ২৯ জন আওয়ামী লীগের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ২৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী  রয়েছেন। এর মধ্যে ১৬টি রাজনৈতিক দলের এক হাজার ৭২৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৫২২ জন। চতুর্থ ধাপে ৭২৪ ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট ইউপিতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপির ১০৬ ইউপিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। বাকি ৬১৯ ইউপিতে প্রার্থী রয়েছে দলটির। এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গতকাল র‌্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল শুরু করেছেন। তারা থাকবেন ভোটের পরদিন পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। কাল শনিবার দেশের ৭২৫ ইউপিতে চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণের জন্য আজ বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল দিবাগত রাত ১২টায়। তাই এদিন ভোর থেকেই গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটেছেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য প্রার্থীরা। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে এবারই প্রথম চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে।

প্রচার-প্রচারণা শেষ : ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, গতকাল মধ্যরাতে বন্ধ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার, সভা-সমাবেশ ও শোডাউন নিষিদ্ধ হয়েছে। ভোটের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টাও কোনো মিছিল করা যাবে না। প্রচারের সময় শেষ হওয়ার আগে বহিরাগতদের ছাড়তে হবে নির্বাচনী এলাকা। কাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে। ভোট উপলক্ষে এদিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় থাকছে সাধারণ ছুটি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে : গোলযোগ-সহিংসতার মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের দলীয় এ নির্বাচনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২০ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত রাখা হচ্ছে এবারও। ভোটের আগের দুই দিন থেকে পরদিন পর্যন্ত চার দিন থাকবেন তারা। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা সদস্য বাড়াবে স্থানীয় প্রশাসন। দলভিত্তিক এ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন, জাল ভোট, ব্যালট ছিনতাইসহ সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে কঠোর অবস্থান না নেওয়ায় সমালোচনার মুখে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইউপি ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় উপজেলাভিত্তিক মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন প্লাটুন করে বিজিবি রাখা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে র‌্যাবের তিনটি টিম। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। অবশ্য ভোটের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। এ ছাড়া আজ বিকালের মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসবে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, এপিবিএন, আনসার ব্যাটালিয়ন ও আনসার-ভিডিপির প্রহরা। টহলে থাকবে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।

শেষ মুহূর্তেও প্রার্থীদের শঙ্কা : ইউপিতে কেন্দ্র দখলের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রায় প্রতিটি ইউপিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি অনেক প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের না যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকিও দেওয়া হচ্ছে।

ঝিনাইদহে নিহত ১, বিভিন্নস্থানে হামলা অগ্নিসংযোগ, ভোট বর্জন : ইউপি নির্বাচনের চতুর্থ ধাপকে সামনে রেখে বিভিন্নস্থানে আরও হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং এর জের ধরে কোথাও কোথাও প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকালের হামলায় ঝিনাইদহে একজন নিহত হয়েছেন। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ— ঝিনাইদহ : নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী গ্রামে গতকাল সকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দিদার হোসেন মণ্ডল (৫০) নামে এক ব্যক্তি মারপিটে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩০ জন। নিহত দিদার মণ্ডল ফলসী গ্রামের জলিল মণ্ডলের ছেলে ও বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুর রহমানের সমর্থক। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী বজলুর রহমান ও বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর দুই পক্ষ গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মানিকগঞ্জ : সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ) ওবায়দুল হক, তার স্ত্রী আছমা বেগম, পিতা ফজলুল হক, দুই ভাই আসাদুল হক ও হেদায়েতুল হক, মিন্টু শেখ, সোহেল রানা, নুরুল ইসলাম, মনির হোসেন, প্লাবনকে আহত করে। এই হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীর রোষে পড়ে হামলাকারীরা। গ্রামবাসীর পাল্টা হামলায় আহত হন আওয়ামী লীগ নেতা আফসার সরকারসহ তিনজন।

 সাটুরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুল্লা সরকার জানান, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির একটি ট্যাক্সি জব্দ করা হয়েছে।

মাগুরা : শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হালিমের প্রচার গাড়ি লক্ষ্য করে গতকাল গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। আবদুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, গুলিতে মাইক্রোবাসের একটি কাচ ছিদ্র হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ ফিরোজ হোসেনের লোকজনই গুলি ছুড়েছে। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ ফিরোজ হোসেন বলেন, আবদুল হালিম নিজেই নিজের গাড়ির কাচ ভেঙে গল্প বানিয়েছেন।

ফরিদপুর : সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল ইউসুফদিয়ার বাড়িতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এনায়েত হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। কোথাও নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দিচ্ছেন না। মারপিট করে আহত করা হয়েছে কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে। এ ছাড়া নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

মাদারগঞ্জ : গতকাল রাত আড়াইটার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ষাটের ব্রিজ বাজারে স্থাপিত সরকারদলীয় প্রার্থী আলহাজ আলতাফুর রহমান আতার (নৌকা) অফিসের আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ছবি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : রায়পুর উপজেলার চতুর্থ ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের আনাগোনার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের আমদানি বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন রায়পুর উপজেলার অনেক ভোটার ও প্রার্থীরা। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। তাদের অধিকাংশ পুলিশের চিহ্নিত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বিজয়নগরে কাপড়ের তৈরি নৌকা ও কাগজ দিয়ে বানানো অফিসে কথিত আগুন দেওয়া নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বাদী হয়ে এ মামলা দিয়েছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রতিপক্ষ বুধন্তী ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী জিয়াউদ্দিন খান নয়ন এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক বকুলকে। স্থানীয়রা বলছেন, নিজেরাই নিজেদের নৌকা ও অফিসে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছেন।

বগুড়া : নন্দীগ্রামে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গোলাম রব্বানী। গতকাল বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গোলাম রব্বানী বলেন, আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি আগামী ৭ মে ১ নম্বর বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।

এ ছাড়া এদিন ধুনট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মারপিটে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙামাটি গ্রামে এই সহিংস ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ধুনট উপজেলার রাঙামাটি গ্রামের আফছার আলীর ছেলে এলাঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান (৩৮) ও নঈম উদ্দিনের ছেলে এলাঙ্গী ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য দোলা মিয়া (৩৪)।

জামালপুর : প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলা, মামলা, প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুরসহ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বিকালে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. হাসান যুবায়ের হিটলার অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা কামালের পক্ষে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। ফলে পুলিশি হয়রানির ভয়ে কর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়েছে। এ অবস্থায় তার পক্ষে ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়।

মাগুরা : ভোটের মাত্র দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচজনের মধ্যে চারজন। গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষণা দেন। এরা হলেন বিএনপির প্রার্থী মাহমুদ হোসেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটন, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মো. আবদুল জব্বার। তারা কর্মী-সমর্থদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।

মুন্সীগঞ্জ : টঙ্গীবাড়ির দুটি ইউনিয়নে নৌকার তোরণে আগুন দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। পুলিশ মামলার অভিযোগ অনুযায়ী জানিয়েছে, উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেকান্দর বেপারীর বাড়িতে বুধবার রাতে বিদ্রোহী প্রার্থী জহিরুল হক লিটন ঢালীর সমর্থকরা হামলা চালায়। এ সময় তার বাড়ির পাশের বিশাল নৌকার তোরণ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। অপর দিকে যশলং ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজল হালদারের লোকজন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলমাছ চোকদারের নৌকার তোরণে বুধবার রাত ১১টায় আগুন লাগিয়ে দেয়। নৌকার তোরণে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আউটশাহী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লিটন ঢালীসহ ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর