সোমবার, ৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

রক্তমাখা চাপাতি ঘিরে চলছে তদন্ত

দর্জি নিখিল হত্যা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দার (৫০) হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিনজনকে দুটি মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। এরা হচ্ছেন গোপালপুর পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম বাদশা, আলমনগর দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও দৈনিক ইনকিলাবের গোপালপুর উপজেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম এবং স্থানীয় বিএনপি কর্মী ঝন্টু মিয়া। গতকাল দুপুরে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে হাজির করলে গোপালপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কান্তি দাস তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মাহফীজুর রহমান বলেন, ‘২ মে নিখিল হত্যায় আটক এই তিনজনকে আদালতে হাজির করে দুটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শেষে আজ রবিবার হাজির করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। রিমান্ডে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে কি না, এমন প্রশ্নে মাহফীজুর রহমান জানান, বড় ধরনের কিছু জানা না গেলেও অল্প হলেও তথ্য জানা গেছে। তদন্তের প্রয়োজনে সে বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ঘটনার পর উদ্ধার রক্তমাখা চাপাতিটি পরীক্ষার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি। উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ডুবাইল এলাকায় নিজ বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘তিথি-তীর্থ বস্ত্রালয় ও টেইলার্স’-এর সামনে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দার। দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন রাতেই নিহতের স্ত্রী আরতি জোয়ার্দার বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। অন্যদিকে পুলিশ বাদী হয়ে একই থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরণ আইনে পৃথক একটি মামলা করে। পরে এ মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গ্রেফতার আমিনুল ২০১২ সালে নিখিলের বিরুদ্ধে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ এনে ধর্ম অবমাননার একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় তখন এক মাস ২৪ দিন জেলহাজতে ছিলেন নিখিল।

সর্বশেষ খবর