সোমবার, ৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিন হাজার স্পটে মাদকের হাট

চট্টগ্রামে মাদকের আগ্রাসন শেষ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে হাত বাড়ালে মিলছে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ হরেক রকমের মাদক দ্রব্য। নগরী ও জেলার কমপক্ষে ৩ হাজারের বেশি স্পটে ওপেন সিক্রেট চলছে এর বিকিকিনি। অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত ক্যাশিয়ার এবং সোর্সদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ বাণিজ্য চলছে।

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক স্পটে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, গাঁজাসহ নানা ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য বিকিকিনি হচ্ছে। একেকটি স্পটে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকার নেশা জাতীয় দ্রব্য বিকিকিনি হয়। অভিযোগ রয়েছে, সিএমপি, জেলা, থানা পুলিশ ও ডিবিসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ক্যাশিয়ার এবং সোর্সরাও নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রির সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। এমনকি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কিছু অসাধু সদস্যের সঙ্গেও মাদক ব্যবসায়ীদের যোগসাজস থাকার অভিযোগ রয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তার দাবি, চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিদফতরের ছয়টি সার্কেলে ১৬০ স্পটে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে নেশাজাতীয় দ্রব্য বিকিকিনি  হচ্ছে। একেকটি স্পটে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকার নেশা জাতীয় দ্রব্য বিকিকিনি হয়। অভিযোগ রয়েছে, সিএমপি, জেলা, থানা পুলিশ ও ডিবিসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ক্যাশিয়ার এবং সোর্সরাও নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রির সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। এমনকি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কিছু অসাধু সদস্যের সঙ্গেও মাদক ব্যবসায়ীদের যোগসাজস থাকার অভিযোগ রয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তার দাবি, চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিদফতরের ছয়টি সার্কেলে ১৬০ স্পটে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে নেশাজাতীয় দ্রব্য বিকিকিনি হয়। এসব মাদক স্পটে প্রায় ৭০০ মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছে। সিএমপি ও জেলা পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, মাদক প্রতিরোধে সক্রিয় রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ বছরের প্রথম তিন মাসে নগর ও জেলা পুলিশ কমপক্ষে ৫ হাজার অভিযান পরিচালনা করে। গত বছর ১৩ হাজারের ওপরে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে নগর ও জেলা পুলিশ। যার মধ্যে ১০ হাজারের ওপরে অভিযানে সফলতা মেলে। এ বছর নগর ও জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীতে মামলা দায়ের হয় ১০ হাজার ১০২টি। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৩০৫টি। ২০১৩ সালে মামলা দায়ের হয় ৬ হাজার ৭৭৮টি। ২০১২ সালে যা ছিল ১১ হাজার ১০২টি। সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে সিএমপির অবস্থান জিরো টলারেন্স। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’ চট্টগ্রাম মেট্রো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী আসলাম বলেন, ‘মাদক স্পট থেকে উেকাচ গ্রহণের অভিযোগটি সত্য নয়। বরং মাদক প্রতিরোধের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে মাদক অধিদফতর।’ জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুল আউয়াল বলেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর