বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

সম্প্রসারিত হচ্ছে জাদুঘর

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সম্প্রসারিত হচ্ছে জাদুঘর

‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। কিন্তু এখানে যেসব নিদর্শন প্রদর্শন করা হয় তা সংগ্রহের তুলনায় অনেক কম। জাদুঘরে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে যা স্টোরে সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে। ফলে জাদুঘর সম্প্রসারণ এখন ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নকশা প্রণয়নের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।’ আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে ‘মিউজিয়াম অ্যান্ড কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব বলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। গতকাল জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সেমিনার হয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার এম আজিজুর রহমান। এতে বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মুস্তাফিজুর রহমান। আলোচনা করেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ, ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। আসাদুজ্জামার নূর বলেন, জাদুঘর অতীতকে ধরে রাখে। এটি কোনো মৃত নিদর্শন বা বস্তুর সমাহার নয়। এটি জীবন্ত ইতিহাসের আকর। সমাজের গণমানুষের সঙ্গে জাদুঘরের সম্পর্ক না থাকলে তা জীবন্ত হয়ে ওঠে না। তিনি জানান, জাতীয় জাদুঘরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযোগ ঘটানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মূল প্রবন্ধে সুফি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মিউজিয়াম অ্যান্ড কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ মূলত ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বের একটি ধারণা। তিনি জানান, বাংলাদেশের দুটি ইউনেস্কো স্বীকৃত কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ রয়েছে। তা হলো— পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (সোমপুর মহাবিহার) ও বাগেরহাট প্রত্ননগরী। এ ছাড়া কুমিল্লার ময়নামতি, মহাস্থানগড়, মুন্সীগঞ্জের উয়ারী- বটেশ্বরসহ এ দেশে প্রচুর কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ আছে। এগুলোর সঙ্গে জাদুঘরের সমন্বয় ঘটানো জরুরি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর