শনিবার, ২৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
কেমন বাজেট চাই

রাজস্ব আদায় প্রচেষ্টা বাস্তবমুখী হওয়া দরকার

রুহুল আমিন রাসেল

রাজস্ব আদায় প্রচেষ্টা বাস্তবমুখী হওয়া দরকার

মীর নাসির হোসেন

দেশে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বা রাজস্ব আদায়ের প্রচেষ্টা আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে বাস্তবমুখী হওয়া দরকার বলে মনে করেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন— এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। রাজস্ব আদায়ের বড় সমস্য হলো বাস্তবায়ন এমন মন্তব্য করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, প্রতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা অর্জন করতে পারে না সরকার। ফলে প্রতি অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে গিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁট করতে হয়। আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, এখন বাংলাদেশের প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। অনেক মানুষের আর্থিক সামর্থ্য বেড়েছে। ফলে অনেক মানুষ আয়কর দেওয়ার উপযোগী বা সক্ষম। কিন্তু এমন প্রেক্ষাপটে মাত্র ১৮ লাখের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর—টিআইএন আছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ ২০১৫-১৬ করবর্ষে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দাখিল করেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে, আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের করের আওতায় আনা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে রিটার্ন দাখিলের এ দৃশ্য বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতির পুরো চিত্র বহন করে না। এ কারণে রাজস্ব আদায়ের পুরো লক্ষ্যমাত্রা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অর্জিত না হলে আবারও বাজেট কাটছাঁট করতে হবে। এফবিসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি মনে করেন, নতুন অর্থবছরের বাজেট হওয়া উচিত বিনিয়োগবান্ধব। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সব সূচক ভালো বা ইতিবাচক ধারায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বিনিয়োগ পরিস্থিতি কয়েক বছর ধরে স্থবির রয়েছে। এবার ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কমে গেছে। এটি শুভ লক্ষণ নয়। আমরা মোট দেশজ উৎপাদন— জিডিপিতে ৭ দশমিক ২ শতাংশের যে প্রবৃদ্ধি চাই, তা এ ধরনের বিনিয়োগ দিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়। জিডিপির ৩৫ শতাংশ বিনিয়োগ না হলে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে না। মীর গ্রুপের কর্ণধার মীর নাসির হোসেন আরও বলেন, দেশে বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মতে, দেশে বিনিয়োগ স্থবির হওয়ার প্রধান কারণ— গ্যাসের অভাব ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়া। যদিও বিদ্যুতের যথেষ্ট উৎপাদন হচ্ছে। তবে এই বিদ্যুৎ এখনো নিরবচ্ছিন্ন নয়। এই খাতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ ও দিকনির্দেশনা থাকা দরকার বলে মনে করেন এই শিল্পপতি।

সর্বশেষ খবর