কুমিল্লার কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর বন্ধু স্থানীয় সংগীতশিল্পী সারেয়ার, খোকন ও বাপ্পিকে গতকাল সকালে সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত ২০ জুন সেনানিবাসের একটি সংগীত অনুষ্ঠানে তাদের গান গাইতে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি হয়নি। এ ছাড়া গতকাল দুপুর ৩টার দিকে সেনানিবাসে যান সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানের নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল।
এদিকে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সিআইডির কর্মকর্তারা গতকাল তাদের বাসায়ও এসেছিলেন। তারা বলেছেন, তাদের (সিআইডি) হাতে যেসব প্রমাণ রয়েছে তাতে আসামির পার পেয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাকে (তনুর বাবাকে) গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টার বিষয়ে তারা থানায় জিডি করতে বলেছেন। সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, ‘কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার বিচার একদিন হবেই।’ গতকাল দুপুরে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে তনু হত্যা মামলার অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন। ড. নাজমুল করিম খান আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধু হত্যা, চার নেতা হত্যা, মানবতাবিরোধী হত্যার বিচার হয়েছে। একটু সময় লাগলেও তনু হত্যার বিচারও হবে।
কারণ আমরা অনেক গুমের মামলায় কোনো প্রমাণ পাই না, লাশ পাই না। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় তনুর কাপড়ে তিনজনের শুক্রাণু পাওয়া গেছে। আসামি মারা গেলেও কবর থেকে লাশ তুলে ডিএনএ শনাক্ত করা সম্ভব। তনু হত্যার ঘটনার স্থান একটি স্পর্শকাতর এলাকায়। সেখানে ইচ্ছামতো সোর্স ব্যবহার করা যায় না।’ তিনি তনুর কাপড়ে পাওয়া তিন পুরুষের ডিএনএ সন্দেহভাজনদের সঙ্গে মেলানোর বিষয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে ঢাকা অফিসে আলোচনা চলছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে পর্যায়ক্রমে সিভিল থেকে সামরিক সব সন্দেহভাজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তে চিকিৎসকদের কাছ থেকে যেসব সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিল- তা আমরা পাইনি। সহযোগিতা পেলে আমাদের কাজ অনেক সহজ হতো।’