ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি চাপ কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি আসছে। আগামীকাল বাংলাদেশ ব্যাংক ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দিয়ে ফজলে কবির প্রথম এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। এরই মধ্যে নতুন এই মুদ্রানীতি প্রণয়নের সব কাজ শেষ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবারে প্রবৃদ্ধি সহায়ক ও বিনিয়োগবান্ধব লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে মুদ্রানীতির চূড়ান্ত ভঙ্গি। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য থাকবে। জাতীয় বাজেটের ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিকে মাথায় রেখেই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত মুদ্রানীতিতে জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস আগে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নিচে ছিল। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯২ শতাংশে নেমেছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল বলেন, মুদ্রানীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, এই মুদ্রানীতির মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির সুযোগ থাকবে।
বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং কৃষি খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়াতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্বাচিত (সিলেকটিভ) খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং রপ্তানিমুখী, উৎপাদনশীল ও পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপনে আগের চেয়ে বেশি অর্থ বা ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ এ বছরের ১৪ জানুয়ারি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিলেন সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। সেই মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।