গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রোধ করে একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের কারণেই দেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একাত্তরে দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে। আজ সেই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। স্বাধীনভাবে তারা চলাফেরা করতে পারে না। রাজনৈতিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই চালানো হচ্ছে নির্যাতন-নিপীড়ন। ফলে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতা সাইফুল বলেন, ‘গরিব মানুষ ধীরে ধীরে অর্থ-সম্পদের মালিক হলে গাঁয়ের জমিদার যেমন তাকে বিভিন্নভাবে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে, ঠিক আমরাও সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমাদের দেশের মানুষ সংগ্রাম করে দেশকে আজ উন্নয়শীল রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করেছে। উন্নয়ন দেখে বিশ্বের অনেক দেশ আজ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছে। তারা বারবার এ দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু আমরা তা চাই না। আমরা উন্নয়নশীল জাতি। আমরা কারও করুণায় বেঁচে থাকতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা বিপথগামী হবে এটা যেমন চাই না, তেমনি যারা বিপথগামী করছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে গর্জে উঠতে হবে। পাড়ায়-মহল্লায় আমাদের সোচ্চার হতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে, যে কারণে জঙ্গি প্রতিরোধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।’ বিএনপি নেতা সাইফুল বলেন, আওয়ামী লীগ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করলেও সেখানে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা নেই। দলের নেতা-কর্মীদের প্রাধান্যই বেশি। একাত্তরে পাকিস্তানিদের হটাতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা ছিল বেশি। জঙ্গিবিরোধী কমিটিতেও সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সভা-সমাবেশ করছি। আমরাও আওয়ামী লীগকে পাশে চাই।’ সবার অংশগ্রহণে জঙ্গি প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করে বিএনপির এই নেতা।