বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ফেরত আনা হবে দুর্নীতির অর্থ

-----------দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির অর্থ যেখানে যাক, যার অ্যাকাউন্টেই যাক না কেন, ফেরত আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মহব্বত আলী খান, সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল মান্নান চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদা আক্তারসহ ১৭ জন শিক্ষক। মতবিনিময় সভায় দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল ও মহাপরিচালক ড. শামসুল আরেফিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, জঙ্গিবাদে অর্থ দেওয়া মানে তা পানিতে ফেলা। জঙ্গিবাদের পরিণতি কী হতে পারে তা কল্যাণপুরের ঘটনা থেকে সহজেই বোঝা যায়। অবৈধভাবে অর্জিত টাকাই এ রকম অনৈতিক কাজে ব্যবহূত হয়। দুর্নীতির অর্থ যেখানে যাক, যার অ্যাকাউন্টেই যাক, তা অবশ্যই ফেরত আনা হবে। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি রোধ করতে হলে সুশিক্ষা প্রয়োজন। মানসম্মত শিক্ষা প্রয়োজন। প্রাইমারি ও হাইস্কুলে যদি ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায়, আর শিক্ষকরা যদি সহযোগিতা করেন, তাহলে এ দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। কিন্তু আমরা ক্রমাগত পেছনের দিকে হাঁটছি। এটা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাই মুক্তির উপায়। জঙ্গিবাদ এবং সামাজিক ও আর্থিক সন্ত্রাস থেকে বাঁচাতে পারেন শিক্ষকরা। আমরা চাই আমাদের বাচ্চারা যেন স্কুলে ও কলেজে লেখাপড়া করে সে সংস্কৃতি তৈরি করতে। অন্তত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের অটো-পাসের সংস্কৃতি বর্জন করতে হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে।’ দুদকের স্বাধীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুদকের অবশ্যই স্বাধীনতা রয়েছে। আইনগতভাবেই দুদক স্বাধীন। এখানে আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে। সরকার থেকে যে অর্থ দেওয়া হয়, কীভাবে খরচ করতে হবে সরকার তা কখনই বলে না। আমরা নিজেরাই এ অর্থ ব্যবহার করি। আমরা স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োগ করতে পারছি।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলেই দুদকের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণের আস্থা বেড়েছে। শিক্ষাঙ্গন থেকে জঙ্গিবাদের যে অভিযোগগুলো উঠছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। শিক্ষাঙ্গন থেকে সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দূর করতে সবার সহযোগিতার তাগিদ দেন অধ্যাপক সাদেকা হালিম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে জঙ্গিবাদের খবরে শঙ্কিত দেশবাসী। আমরা সব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চাই।’

সর্বশেষ খবর