রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

বদলে যাওয়া বিলুপ্ত ছিটমহলের দিনকাল

আলোর পথে এক বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বদলে যাওয়া বিলুপ্ত ছিটমহলের দিনকাল

ছিটমহল বিলুপ্ত হওয়ার পর দাসিয়ারছড়ায় নির্মিত হচ্ছে পাকা রাস্তাঘাট। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমেছে এখানকার নাগরিকদের —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ১ মিনিটে পৌঁছতেই ‘আলোর পথে যাত্রা’র এক বছরপূর্তি উৎসবে মিলিত হবেন বিলুপ্ত ছিটমহল বাসিন্দারা। নবনির্মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে ফুলেল শ্রদ্ধা, মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে দিনটির সূচনা করা হবে। সকালে সরকারিভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করা হবে। গত বছরের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে মুক্তির মিছিলে শামিল হয়েছিলেন ১১১টি ছিটের বাসিন্দারা। শুরু হয়েছিল ইতিহাসের নতুন যাত্রা। বদলে ছিল পতাকা। সবাই পান নতুন ঠিকানা। অবসান হয়েছিল ৬৮ বছরের বন্দী জীবনের। ওই দিন ছিটমহলের ঘরে ঘরে জ্বলে উঠেছিল ৬৮টি করে মোমবাতি। কণ্ঠে কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা...’। সেই মুক্ত জীবনের এক বছর পূর্ণ হবে আজ মধ্যরাতে। এদিকে গত এক বছরের বিলুপ্ত ছিটের চেহারাও আমূল পাল্টে গেছে। উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার এই ভূখণ্ডগুলোতে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। ভোটাধিকারসহ নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তারা। ঘরে ঘরে জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাতি। ছেলেমেয়েদের পড়াতে পারছেন নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তারা পেয়েছেন হাসপাতাল (কমিউনিটি ক্লিনিক), পাকা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, হাটবাজার, ফায়ার সার্ভিস,  টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ ও তথ্য সেবার জন্য ডিজিটাল সাব সেন্টারসহ আধুনিক সব সুবিধা। এ ছাড়া রয়েছে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা, গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য কৃষি প্রযুক্তি, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, স্যানিটেশনের ব্যবস্থাও। 

মধ্য রাতে ফুলেল শ্রদ্ধা : পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আজ ৩১ জুলাই দিনগত রাত ১২টা এক মিনিট থেকে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে প্রথম ছিটমহল মুক্ত দিবস পালন করবেন পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬ ছিটমহলের অধিবাসীরা। দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দী জীবন থেকে মুক্তি মিলেছিল গত বছরের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে। এ উপলক্ষে নানা প্রস্তুতি নিয়েছেন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী। সরকারিভাবেও দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। ছিটমহল সূত্রে জানা গেছে, নব্য প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হবে রাত ১২টা ১ মিনিটে। এ উপলক্ষে  বিলুপ্ত ৩৬ ছিটমহলে নব্য প্রতিষ্ঠিত ৩২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সকালে সরকারিভাবে ছিটমহলগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করা হবে। এ ছাড়াও থাকছে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছিটমহলবাসীরা দিনটিকে ছিটমহল স্বাধীনতা দিবস হিসাবে উদযাপন করবে বলে জানিয়েছেন এর অধিবাসীরা। ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাত ১২টা ১ মিনিট বাজার সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতি প্রজ্বালন, কেককাটার আয়োজন করা হয়েছে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায়। এ ছাড়া প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন ছিটমহলবাসী। বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে মশাল ও মোমবাতি প্রজ্বালন ও আলোকসজ্জা ছাড়াও প্রতিটি মসজিদে মিলাদ মাহফিল, মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা, আলোচনা সভা, মিষ্টি বিতরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণসহ রয়েছে নানা আয়োজন।

বদলে গেছে জীবনযাত্রা : দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দা কালিহাটের আবদুল খালেক বলেন, ‘৬৮ বছর হামরা কিছুই পাই নাই। এত তাড়াতাড়ি এত কিছু হইবে হামরা ভাবি নাই। এলা ফটোও তুলছি। সামনে ভোটও দিমো’। কামালপুরের আবদুল হামিদ বলেন, ‘৩টা স্কুল হবার নাগছে। রাস্তা পাকা হবার নাগছে। বাড়ি বাড়ি কারেন পাছি। হামরা সরকারের এই কাজে খুব খুশি বাহে।’ একই ধরনের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ছিটের বাসিন্দা পাভেল, হজরত, হায়দারসহ অনেকেই। ছিটের যুবক নুর হোসেন জানান, মিথ্যে পরিচয় দিয়ে লেখাপড়া শেখার সেই দুঃসহ দিন ভুলে শিক্ষার আলোতে নিজেদের আলোকিত করার প্রত্যয় সৃষ্টি হয়েছে এখানকার কিশোর-যুবকদের। মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের অনেক দাবি পূরণ হয়েছে। কিন্তু দাসিয়ারছড়ায় একটি পৃথক  ইউনিয়নের দাবিটি পূরণ হয়নি।’ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন ধারাবাহিকভাবে ছিটমহলের অনেক উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আকতার হোসেন আজাদ জানান, এ বছর কুড়িগ্রামের ১২টি বিলুপ্ত ছিটমহলের উন্নয়নে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাসিয়ারছড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধনের পরে ছিটমহলের প্রায় সাড়ে সাতশ পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছে। এরই মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে ৩০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন। ভূমির প্রাক জরিপ শেষে প্রদান করা হয়েছে মালিকানা বণ্টনের কাগজপত্র। ডিজিটাল জরিপও শেষ হয়েছে। ভূমি জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমেই সাবেক ছিটমহলবাসীর আতঙ্ক সাদা কাগজের দলিল বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যুব উন্নয়ন, সমবায়, মত্স্য, পল্লী উন্নয়ন, আইএপিপি (এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টিভিটি প্লানিং প্রোগাম) প্রকল্প ও সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণসহ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খাদ্য সহায়তা হিসেবে নতুন নাগরিকদের গত ঈদের আগে দেওয়া হয়েছে ১০ কেজি করে চাল।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে ছিটমহলের বিলুপ্তি ঘটে। ভারতের ১১১টি ছিটমহল পেয়েছে বাংলাদেশ। একইভাবে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল পেয়েছে ভারত। দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যার অবসানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মানচিত্র পূর্ণতা পেয়েছে।

দাসিয়ারছড়ায় বদলে গেছে জীবনধারা : আমিনুল ইসলাম, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) থেকে জানান, ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার এক বছরেই বদলে গেছে সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়াবাসীর জীবনধারা। সহসাই তারা অতীত থেকে উঠে এসেছেন উজ্জ্বল বর্তমানে। স্বপ্ন দেখছেন আরও আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের। এক অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় স্বল্পসময়ে নাগরিকত্বের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন দাসিয়ারছড়াবাসী। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় এখন তারা অতীতকে দেখছেন দুঃস্বপ্ন হিসেবে। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, অবহেলা ও অন্ধকার শেষে তারা যেন এখন নতুন আলোর পথের যাত্রী।

জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী দাসিয়ারছড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করার পর প্রায় ৭৫০টি পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৩০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন। সংযোগ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার পরিবারকে। পাশাপাশি ৬৮ বছর পর তারা পেয়েছেন হাসপাতাল (কমিউনিটি ক্লিনিক), পাকা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, হাটবাজার, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন-ইন্টারনেট সংযোগ, তথ্যসেবার জন্য ডিজিটাল সাব সেন্টার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, বিধবা-বয়স্ক-প্রতিবন্ধী ভাতা, গৃহহীন-ভূমিহীনদের পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য কৃষিপ্রযুক্তি, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং স্যানিটেশন। আরও মিলেছে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের শুরুতে পাঠ্যবই এবং উপবৃত্তি, সুপেয় পানি ও সেচের জন্য নলকূপসহ নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা। এরই মধ্যে ভূমির প্রাক-জরিপ শেষে প্রদান করা হয়েছে মালিকানা বণ্টনের কাগজপত্র। ডিজিটাল জরিপও শেষ হয়েছে। ভূমি জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমেই সাবেক ছিটমহলবাসীর আতঙ্ক সাদা কাগজের দলিল বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যুব উন্নয়ন, সমবায়, মত্স্য, পল্লী উন্নয়ন, আইএপিপি (এগ্রিকালচারাল প্রোডাকটিভিটি প্ল্যানিং প্রোগাম) প্রকল্প ও সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণসহ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খাদ্যসহায়তা হিসেবে নতুন নাগরিকদের গত ঈদের আগে দেওয়া হয়েছে ১০ কেজি করে চাল। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য সোনালী, অগ্রণী, সোশ্যাল ইসলামী, ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ঋণ প্রদানের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে। এই সঙ্গে গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে আশ্রয়ণ কেন্দ্র। যারা এ প্রকল্পে ঠাঁই পাবেন না তাদের সরকারি উদ্যোগে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে সাড়ে ২২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর আওতায় আরও ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৪০টি ড্রেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এলাকাভিত্তিক ল্যাট্রিন, নলকূপ স্থাপন, বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম, ১৫টি প্রি-প্রাইমারি বিদ্যালয়, বৃক্ষরোপণ, কমিউনিটি ক্লিনিকে উপকরণ সরবরাহ, ঝরে পড়া শিশুদের বৃত্তি প্রদান, প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী মহিলাদের সেলাই মেশিন প্রদান, খেলাধুলার সামগ্রী সরবরাহ, জলাশয়ে রেণু পোনা ছাড়করণ, একটি শহীদ মিনার নির্মাণ, হলরুম নির্মাণ, বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। দাসিয়ারছড়ার ছোট কামাত গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছোবেয়া খাতুন (৫০) জানান, তিনি কোনো দিন ভাবেননি বাঁচার অবলম্বন পাবেন। প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে তিনি দারুণ অভিভূত। তিনি বলেন, ‘বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখন অন্যরকম লাগছে।’ একইভাবে দৈনন্দিন রোজগারের অবলম্বন একটি রিকশাভ্যান পেয়ে আনন্দিত কালিরহাটের জয়নাল জানান, আগে কাজের অভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটত। এখন তা নেই। কামালপুর গ্রামের আছমা বেগমও সোনালী ব্যাংকের দুই বান্ডিল টিনসহ আর্থিক সহায়তা পেয়ে নতুন জীবন পেয়েছেন। এরই মধ্যে যুব প্রশিক্ষণের পর অগ্রণী ব্যাংকের সহায়তায় সেলাই মেশিন পেয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন কালিরহাটের জোলেখা। দুই সন্তানসহ চারজনের পরিবারে এখন তাদের সুখের বাতাস। সমন্বয়পাড়ার বাসিন্দা মোজাফফর জানান, জীবনে কখনো কল্পনা করেননি সব নাগরিক সুবিধা তাদের জীবনে আসবে। তাও আবার এত অল্প সময়ে। ৬৮ বছর দাসিয়ারছড়াতেই কাটানো এই কৃষক এক বছর আগেও বাস করতেন ছিটমহলের বন্দীজীবনে। যেখানে নাগরিক পরিচয় বা মৌলিক অধিকারের সবকিছুই ছিল অনুপস্থিত। কামালপুর গ্রামের বৃদ্ধ আবুবকর সিদ্দিক (৭৮) বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি আমাদের আপন করে নিয়েছেন। তার কাছে ছিটমহলবাসী সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।’ দাসিয়ারছড়া কালিরহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের নাগরিক হওয়ার আবেদন করে জীবনে একটা বড় ভুল করেছি, তা আজ হারে হারে টের পাচ্ছি। এ দেশে যে এত সুযোগ-সুবিধা পাব, তা কল্পনাই করিনি। তাই আমি ভারতের নাগরিক হতে চাই না।’ তিনি জানান, এজন্য তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। বাংলাদেশ-ভারত সাবেক ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। সেই সঙ্গে এক বছরে এলাকার উন্নয়নে আমরা অভিভূত।’ সাবেক ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সভাপতি আলতাফ হোসেন জানান, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দক্ষতায় আমরা মুগ্ধ। তিনিই ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল রূপকার। আমরা তার দীর্ঘায়ু কামনা করি।’

সর্বশেষ খবর