শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী ১৬ কোম্পানির কারখানা সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

লাইসেন্স বাতিল করা ২০ কোম্পানির ভেজাল ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ঔষধ প্রশাসন। একই সঙ্গে ভেজাল ওষুধ উৎপাদনের অপরাধে ১৬টি কোম্পানির কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তবে তিন কোম্পানির অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি ঔষধ প্রশাসন। এ ছাড়া একটি ওষুধ কোম্পানিতে ওষুধ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি না থাকায় সিলগালা করা যায়নি।

সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, ইউনুস আলী সরকার, নিজাম উদ্দিন হাজারী, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সেলিনা বেগম বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে উপস্থাপিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারী ওষুধ কোম্পানির তালিকায় নাম থাকলেও নারায়ণগঞ্জের ড্রাগল্যান্ড, নোয়াখালীর ক্যাফমা ও রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ট্রপিক্যালস ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ঠিকানায় অভিযান চালিয়ে লাইসেন্সে উল্লিখিত ঠিকানায় কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এ ছাড়া রেমো কেমিক্যাল কোম্পানির ফার্মা ডিভিশনে ওষুধ উৎপাদনের কোনো যন্ত্রপাতি না পাওয়ায় সিলগালা করা হয়নি। বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা ৭টি ওষুধ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে— স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল,  ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল,  এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল ও এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল। এর মধ্যে প্রথম পাঁচটি কোম্পানির লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। আর স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল নিজেরাই ওষুধ প্রস্তুত বন্ধ করে দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কুমিল্লার বিসিক এলাকায় বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় তারা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া বাতিলকৃত ওষুধ কোম্পানি এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল নতুন করে সব শর্ত পূরণ করে ওষুধ তৈরির জন্য চেষ্টা করছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে ১৩টি ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করার কারণে পেনিসিলিন তৈরির লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে— টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ড্রাগ,  সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল, ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড,  ড্রাগল্যান্ড,  ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, জালফা ল্যাবরেটরিজ, রিড ফার্মাসিউটিক্যাল, রেমো কেমিক্যাল,  ক্যাফমা ফার্মাসিউটিক্যাল,  গ্লোব ল্যাবরেটরিজ,  মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল  এবং নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল।

সর্বশেষ খবর