বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থীদের বেতন ৩০ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের বেতন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বাড়াতে পারবে। এর জন্য অবশ্যই অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা) অনুমোদন পেলেই বাড়ানো যাবে এই ফি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন ও টিউশন ফি বৃদ্ধিসংক্রান্ত এক পরিপত্রে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০১৫ সালের নতুন পে-স্কেল প্রবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত, আংশিক এমপিওভুক্ত এবং এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাভাবিক বেতন ও টিউশন ফি বাড়িয়ে যাচ্ছে; যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা বাড়াতে পরিপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ রয়েছে, কোনো অবস্থাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না। সংস্থাপন ব্যয় বাবদ ভর্তি নীতিমালায় বর্ণিত সেশনচার্জ ও উন্নয়ন ফির অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না। পরিপত্র অনুযায়ী, শুধু ঘাটতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ঘাটতি মেটাতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফি বাড়িয়ে ওই ঘাটতি মেটাতে পারবে। এই অর্থ আদায়ের প্রস্তাব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশসহ অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষককে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রস্তাবটি পরীক্ষা করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা) কাছে উপস্থাপন করবেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অনুমোদন করলে ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এ ছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা জনবল কাঠামো অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো শ্রেণি বা শাখা বাড়ানো যাবে না। শ্রেণি-শাখার অনুমোদন না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বৈধ হবে না। অনুমোদন ছাড়া নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার জন?্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো বেতন বা ফি আদায় করা যাবে না। পরিপত্রে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতাদি জনবল কাঠামোতে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর