এখনো শান্ত হয়নি উদ্ধার হওয়া বন্যহাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’। গতকালও দিনভর সে দড়ি ছিঁড়ে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। উদ্ধার হওয়ার পর একটি বড় আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে ‘বঙ্গ বাহাদুরকে। পেছনের দুই পায়ে লম্বা শেকল ও সামনের দুই পায়ে মোটা দড়ি দিয়ে একটি আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল তাকে। শেকল ও দড়ি অনেকটা লম্বা রাখা হয়েছে যাতে হাতিটি নির্দিষ্ট এলাকায় চলাফেরা করতে পারে। এ অবস্থায় তাকে কলা, গুড়, আখ ও কলাগাছ খাবার দেওয়া হচ্ছে। বন বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাঈদ হোসেন জানিয়েছেন, হাতিটি এখন অনেকটা সবল হয়ে উঠেছে। গতকাল সকালে হাতিটি অস্থির হয়ে ওঠে। বার বার অস্থির হয়ে সে ছোটাছুটি করছিল। এক পর্যায়ে সামনের পায়ের দড়ি ছিঁড়ে পাশের একটি জলাশয়ে নেমে পড়ে। তবে তার পেছনের পায়ে এখনো শেকল পরানো আছে। বিকাল সাড়ে ৩টায় হাতিটি ফের ডাঙায় উঠে আসে। এখনো হাতিটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই বন কর্মকর্তা। তিনি জানান, হাতিটিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর চেষ্টা চলছে।

এদিকে গতকাল প্রধান বন সংরক্ষক অসিত রঞ্জন পাল সরিষাবাড়ী এসেছেন। তিনি উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে বৈঠক করে হাতিটিকে কীভাবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেওয়া যাবে সে ব্যাপারে পরামর্শ করছেন। প্রধান বন সংরক্ষক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘এখন হাতিটি যেখানে রয়েছে সেখান থেকে মূল সড়ক প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে। এই ১ কিলোমিটার কর্দমাক্ত থাকায় মূল সড়কে হাতিটিকে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা অনুকূল পরিবেশ পেলেই যত দ্রুত সম্ভব হাতিটি সাফারি পার্কে নেওয়ার চেষ্টা করব।’ এদিকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে দুটি পোষা হাতি আসার কথা থাকলেও গতকাল বিকাল পর্যন্ত সেগুলো এসে পৌঁছেনি।