বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রয়োজন মাঝারি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগ

—ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ

প্রয়োজন মাঝারি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে শুধু বৃহৎ বিনিয়োগ আসবে। আর সে পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে সরকার। কিন্তু শুধু এটা করলে চলবে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) বিনিয়োগকেও উৎসাহিত করতে হবে। কেননা এর মাধ্যমে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে শুধু কর্মসংস্থানই নয়, উদ্যোক্তাও তৈরি হয়। এ জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এসএমই শিল্পকেও সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। গতকাল মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ এসব কথা বলেন। সাবেক এই গভর্নর বলেন, সরকার বলছে, এসব অঞ্চলে গ্যাস-বিদ্যুৎ, উন্নত রাস্তাঘাটসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তবে এসব বিষয়ে জমি ব্যবহারের বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। কেননা আমাদের ভূমির স্বল্পতা রয়েছে। সে জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার নামে যেন জমির অপচয় না হয়, কিংবা জমির অপব্যবহার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিসিক শিল্পনগরীতে যেভাবে জমির অপচয় হয়েছে, কিংবা জমি নষ্ট হয়েছে, এ ক্ষেত্রে তা করা যাবে না। এর মাধ্যমে সমতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধি অর্জন বা কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এ জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে ছোট ছোট বিনিয়োগকারীদেরও সুযোগ দিতে হবে, যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ার সঙ্গে সব ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়বে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখান থেকে যেসব পণ্য উৎপাদিত হবে, এর সবই রপ্তানি হবে। অর্থাৎ এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে শতভাগ রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদিত হবে। এতে রপ্তানি আয় বাড়বে। কিন্তু এর সঙ্গে স্থানীয় প্রয়োজন মেটানোর উৎপাদনের কথাও মনে রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর