শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

কাব্য গানে স্মরণ কবি শামসুর রাহমানকে

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

কাব্য গানে স্মরণ কবি শামসুর রাহমানকে

শামসুর রাহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বনানী কবরস্থানে পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীতে গতকাল কাব্যকথা আর গানে স্মরণ করা হয়েছে তাকে। বিকালে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সেমিনার হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কবি শামসুর রাহমানের স্মৃতিচারণ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি আসাদ মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক ড. সাইম রানা, বেগম আখতার কামাল, চিত্রশিল্পী নাজমা আক্তার, সংগীতশিল্পী বাবু রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুর রাহমান এ দুজন কবিকে একসঙ্গে দেখি। একজন হলেন রাজনীতির কবি, অন্যজন বাংলা সাহিত্যের কবি। দুজনের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দুজনই অমর হয়ে আছেন মাটি ও মানুষকে ঘিরে। এ শোকের মাসে আমরা এ দুই মহান ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছি। আগামী প্রজন্মের কবিদের উচিত শামসুর রাহমানের মতো কবিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা। কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, কবি শামসুর রাহমান যখন অসুস্থ হয়ে মহাখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন তাকে নিয়ে আমি একটি কবিতা লিখেছিলাম। আমার এ কবিতা লেখার পর প্রায় ৩০ বছর উনি বেঁচে ছিলেন। আমি আজ এ কবিতা পাঠ করে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই। এরপর তিনি নিজের লেখা ‘শামসুর রাহমানের জন্য এলিজি’ কবিতা আবৃত্তি করেন। সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, যারা অসাধারণ কাজ করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, তাদের আমি মৃত্যুদিবস মনে করি না। আমাদের কবিতার ধারাকে যারা ভিন্ন এক মাত্রা দিয়ে উপস্থাপন করেছেন, তাদের মধ্যে কবি শামসুর রাহমান অন্যতম। কথামালা শেষে আবৃত্তি পরিবেশন করেন কবি বদরুল হায়দার, লিলি হক, মিলন সব্যসাচী প্রমুখ। সব শেষে সংগীত সংগঠন ‘চাষার পাল’-এর শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সংগীতানুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর : আলোচনা, কবিতা পাঠ ও সংগীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। গতকাল সন্ধ্যায় জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বক্তৃতা করেন নাট্যাভিনেতা রামেন্দু মজুমদার। পাঠ ও আবৃত্তিতে অংশ নেন মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল ও ইকবাল খোরশেদ। এতে সংগীত পরিবেশন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী।

সর্বশেষ খবর