শিরোনাম
বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিএনপি নেতা বাবর হত্যা মামলায় ১১ জনের ফাঁসি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বাবর মিয়া হত্যা মামলায় ১১ জনের ফাঁসি ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজী এ আদেশ দেন। এ মামলায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আদালতে তিনজন উপস্থিত ছিলেন, অন্যরা পলাতক। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— আলম, মহিউদ্দিন, মিরাজ, মঞ্জু, মাইনউদ্দিন, মোর্শেদ আলম, মাসুদ, কালা মুন্সী, সাইফুল ইসলাম মামুন, আবদুস সহিদ ওরফে ভুট্টো, আবুল বাশার। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— জামাল, নুরুল হুদা, আলী হোসেন নসু ও নুরুল হক। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোর্শেদ আলম ও মাসুদ। আদালতসূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৮ মার্চ সদর উপজেলার ভুঁইয়ার হাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ১০ মার্চ নিহতের ভাই নুরুল আলম বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ও আবুল বাশার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।

বাবা হত্যায় ছেলের ও ভাই হত্যায় ভাইয়ের ফাঁসি : বাগেরহাটে গতকাল বাবা হত্যার দায়ে ছেলেকে ও ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাইকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছে পৃথক দুটি আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছোট ভাইকে হত্যায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ভবসিন্ধুর স্ত্রী আঁখি বৈরাগীকে বেকসুর খালাস দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহম্মদ রেজাউল করিম। ভিবসিন্ধুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। ছোট ভাইকে হত্যায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ভবসিন্ধুর (৩০) অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলুল হক আপন রায় দেন। বাবাকে হত্যায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তুহিন কাজী (২৭) রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শেখ মোহম্মদ আলী জানান, মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোররাতে ছেলে তুহিন কাজী তার বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সুমী আক্তার তুহিন কাজীকে আসামি করে ওই দিনই মোল্লাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তুহিন মণ্ডল ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত তুহিনকে ফাঁসি ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়। অন্য হত্যা মামলার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি সীতারানী দেবনাথ জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ডেউয়াতলা গ্রামের প্রয়াত অমূল্য বৈরাগীর বড় ছেলে ভবসিন্ধু বৈরাগীর সঙ্গে তার ছোট ছেলে অখিল বৈরাগীর (১৮) পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০০৮ সালের ১৭ মার্চ সকালে অখিল মাছের ঘেরে কাজ করার সময় ভবসিন্ধু ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের চাচাতো ভাই গুরুদাস বৈরাগী বাদী হয়ে ভবসিন্ধু ও ভবসিন্ধুর স্ত্রী আঁখি বৈরাগীর বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সর্বশেষ খবর