শিরোনাম
বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

বাদশার সঙ্গিনী বর্ষারানী

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

বাদশার সঙ্গিনী বর্ষারানী

সাত বছর একাকী থাকার পর সঙ্গিনী পেল বাদশা। সোমবার রাতে দুই বছর বয়সী বর্ষারানীকে চট্টগ্রাম থেকে আনা হলেও গতকাল পর্যন্ত তাকে কাছে পায়নি বাদশা। বর্ষারানীকে পাশেরএকটি খাঁচায় রাখা রয়েছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে তাকে বাদশার খাঁচায় দেওয়া হবে বলে রংপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এদিকে বর্ষারানীর আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখার জন্য গতকাল সকাল থেকেই চিড়িয়াখানায় উত্সুক দর্শনার্থীর ভিড় পড়ে যায়। তবে দর্শনার্থীদের খাঁচার কাছে বেশিক্ষণ থাকতে দিচ্ছে না চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। রংপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের আগস্টে সিংহ সম্রাট ও সিংহী লাইলি পরিবারে জন্ম হয় ছয়টি সিংহশাবকের। এর মধ্যে দুটিকে এখানে রেখে বাকি চারটি শাবককে পাঠানো হয় ঢাকা চিড়িয়াখানায়। ২০১১ সালে মারা যায় সম্রাট ও লাইলি। রংপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেখানে রাখা সিংহশাবক দুটির নাম দেয় রাজা ও বাদশা। তখন থেকেই রাজা-বাদশা এক খাঁচায় ছিল। তাদের কোনো সঙ্গিনী ছিল না। অন্যদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া দুই বছর বয়সী বর্ষারানী ও ঝরনারানীরও কোনো সঙ্গী ছিল না। বিষয়টি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ায়। পরে দুই চিড়িয়াখানার মধ্যে সিংহ-সিংহী বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে সিংহী বর্ষারানীকে আনা হয় রংপুরে। গতকাল বিকালে এখান থেকে সিংহ রাজাকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। সেখানে সে ঝরনারানীর সঙ্গী হবে। এর ফলে ছয় বছর একই খাঁচায় বসবাসের পর আলাদা হয়ে গেল রাজা ও বাদশা। এদিকে দীর্ঘদিন লালন-পালন করার পর রাজাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছেন চিড়িয়াখানার প্রাণী তত্ত্বাবধায়ক (এনিম্যাল কেয়ারটেকার) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘রাজার চলে যাওয়ায় একটু খারাপ লাগছে। আগে রাজা-বাদশাকে লালন-পালন করেছি। তারা বশ মেনেছিল। আমাকে দেখলেই কাছে ছুটে আসত। এখন বাদশা-বর্ষারানীকে দেখভাল করতে হবে।’ রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. মোশাররফ হোসেন জানান, সঙ্গিনী পাওয়ার পর সিংহের বংশবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর