বরিশালের বানারীপাড়ার দাসেরহাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে যাত্রীবোঝাই নৌযান ডুবির ঘটনায় আরও একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নলশ্রী সংলগ্ন সন্ধ্যা নদী থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি সৈয়দকাঠী গ্রামের মৃত হামেদ হাওলাদারের ছেলে জাকির হোসেন হাওলাদারের।
এ নিয়ে দুর্ঘটনার পর সন্ধ্যা নদী থেকে মোট ২৮ জনের লাশ উদ্ধার হলো। তবে এর মধ্যে একটি লাশ একই দিন সন্ধ্যায় বানারীপাড়া লঞ্চঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ বেল্লাল হোসেনের বলে ওসি মো. জিয়াউল আহসান জানিয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ নববিবাহিত বেল্লালের লাশও পরদিন উদ্ধার করে পুলিশ। নৌযান ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তালিকায় বেল্লালের নাম ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছিল বলে ওসি স্বীকার করেন। বুধবারের নৌযান ডুবির ঘটনায় এখনো রাজু হাওলাদার নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। রাজু একই উপজেলার মহিষা পোতা গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে।
এদিকে এই নৌযান ডুবির ঘটনায় মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে পুলিশ এবং বিআইডব্লিউটিএ। দায়িত্ব অবহেলা এবং বেশি লাভের আশায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে প্রাণনাশের অভিযোগে এই মামলা হয়েছে।থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ওই নৌযানটির মালিক ও চালক বানারীপাড়া পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ আলী হাওলাদার এবং চালকের সহকারী (হেলপার) পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার গাজীরপাড় গ্রামের মো. শাজাহানের ছেলে মো. নয়নকে আসামি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় হেলপার নয়ন নৌযানটি চালাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। অপরদিকে দুর্ঘটনার তিন দিন পর মালিক ও চালক ইউসুফ এবং হেলপার নয়নের বিরুদ্ধে মেরিন আদালতে মামলা করেছে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পর চার দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নৌযানটির মালিক ইউসুফ কিংবা ওই সময়ে চালকের দায়িত্বে থাকা নয়নকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।