রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়—রুয়েটের জিয়া হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এক শিক্ষককে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ রেখে লাঞ্ছিত করেছেন। মঙ্গলবার রাতে রুয়েটের উপ-ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়কে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। রুয়েট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রুয়েটের জিয়া হল থেকে চারটি ল্যাপটপ চুরি হয়। হারানো ল্যাপটপ উদ্ধার করতে রুয়েটের সহকারী ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ওই হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালাতে গেলে রুয়েট ছাত্রলীগের সহসম্পাদক শাকিল কবীর বাধা দেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সিদ্ধার্থ শঙ্কর শাকিলকে চড় মারেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই শিক্ষককে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় তাকে লাঞ্ছিতও করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও রুয়েট ছত্রালীগের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ রুয়েটের প্রধান ফটকের সামনে নেতা-কর্মীদের আটকে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রুয়েটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষক সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় বলেন, ‘জিয়া হলে কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে চাঁদাবাজি, চাঁদা না দিলে মারধর এবং তালা ভেঙে ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় কক্ষ তল্লাশি করতে গেলে শাকিল নামে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। এ সময় আমাকে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে এক ঘণ্টা আটকে রাখে তারা।’ শাকিলের বিরুদ্ধে এর আগে ডাকাতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান এই শিক্ষক।
এ ব্যাপারে রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান হিমেল বলেন, ‘ল্যাপটপ চুরি হওয়ার পর স্যারেরা প্রথমে যার রুমে খুঁজতে যান তিনি মাইন্ড করেছেন। এ নিয়ে সিনক্রিয়েট হয়েছে। পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু ভাই আসেন। তারপর বিষয়টি ঠিকঠাক হয়ে যায়।’রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক এন এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘জিয়া হলে অপ্রীতিকর একটা সিচুয়েশন ঘটেছিল। পরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়।’