বাজারজাতকরণের সুযোগ, মূলধন ও নায্যমূল্য না পাওয়ায় বিলুপ্ত হতে চলেছে এক সময়ের দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করা রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ধুনিজুরা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী নকশি শীতলপাটি। সংশ্লিষ্টরা জানান, মুর্তা বেত দিয়ে তৈরি এই শীতলপাটির কদর ছিল সব জায়গায়। সিলেট অঞ্চলের বিয়েতে সব সরঞ্জামাদির সঙ্গে একটি নকশি শীতলপাটি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। নকশিগুলোর মধ্যে বেত দিয়ে মসজিদ, মন্দির, হাঁস, মুরগি, পাখি, বিড়াল, বক, হরিণসহ বিভিন্ন পশুর ছবি তৈরি করা হতো। এই শীতলপাটি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন ধুনিজুড়া গ্রামের প্রায় ১০০ পরিবার। এ ছাড়াও জুগিকোনা, সাদাপুর, বেড়কুড়ি, জাহিদপুর, মেদেনীমহল, মুনিয়ারপাড়, তুলাপুর ও আবদুল্লাহপুর গ্রামের অনেক মানুষ এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এখন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছেন মাত্র পাঁচ পরিবার। এ ব্যাপারে শীতলপাটি শিল্প পরিষদের সভাপতি বেনু ভূষণ দাশ বলেন, মূলধন ও প্রশিক্ষণের অভাবে আমরা এই শিল্পকে বিকশিত করতে পারছি না। এখন সরকারি উদ্যোগে ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হলেই কেবল এ শীতলপাটি শিল্পকে রক্ষা করা এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।