মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

২০১৯ সাল থেকে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২০১৯ সাল থেকে অভিন্ন প্রশ্নে সারা দেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোতে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। একই সঙ্গে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল প্রশ্নের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আইটেম ব্যাংক তৈরি করারও পরামর্শ দেন তারা। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষাবিদদের নানা সুপারিশ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসব সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি কক্সবাজারে একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে শিক্ষাবিদরা এসব সুপারিশ করেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, পাবলিক পরীক্ষার সময় ও শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে এসএসসি পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষাকে পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত না করার সুপারিশ এসেছে। শিক্ষাবিদরা এসব বিষয়কে বিদ্যালয় পর্যায়ে সম্পূর্ণভাবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনার কথা বলেছেন। বিষয়গুলো স্কুল পর্যায়ে যথাযথভাবে পড়ানো ও শিক্ষার্থীদের নিকট আকর্ষণীয় করে তোলার ব্যাপারে কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবনের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। শারীরিক শিক্ষা, চারু ও কারুকলার বিষয়ে প্রতিযোগিতা ও কৃতিত্বের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সুপারিশের মধ্যে আরও আছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারির আগেই এই পাঠ্যপুস্তক সম্পন্ন করতে হবে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের জন্য একটি টাইমলাইন বেঁধে দেওয়া হবে। যাতে  ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া যায়। স্কুলপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য তা কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন শিক্ষাবিদরা। বছরের একদিন বই পড়া দিবস পালন করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিক্ষকদের পাঠদানে সহায়তা করার জন্য উপযুক্ত টিচারস্ গাইড যথাসময়ে প্রণয়ন ও মানোন্নয়ন করা প্রয়োজন। এমসিকিউ ও সৃজনশীল প্রশ্নের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আইটেম ব্যাংক তৈরি করা যেতে পারে। প্রশ্নের সঙ্গে নমুনা কিছু উত্তর যাচাই-বাছাই করে সরবরাহ করা যেতে পারে যা শিক্ষার্থীদের উত্তর প্রদানে সহায়ক হবে। প্রশ্নের মান উন্নয়নে সব শিক্ষককে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে আবশ্যিকভাবে সম্পৃক্ত করার কথা জানান নাহিদ। সম্মেলনে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামান, শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর