শিরোনাম
রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

পাতায় পাতায় পাখির বাসা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ছন্দু হোটেল এলাকা। রাত যত গভীর হয় ব্যস্ততা তত বাড়ে। থেমে থেমে বেজে ওঠে বাস-ট্রাকের হর্ন। খ্যাতনামা এই রেস্তরাঁয় রাত গভীরেও ভিড় জমান বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। ছন্দু হোটেল লাগোয়া পূর্ব পাশেই হাজী নূর ম্যানশন। ম্যানশনের সামনে চারটি নারিকেল গাছ, দুটি বড়ুই, একটি নিম ও একটি সুপারি গাছ। এসব গাছের পাতায় পাতায় পাখির বাসা। কেউ বড়ই গাছে তাকালে প্রথমে মনে হবে গাছে বুঝি বড় বড় বড়ই ধরেছে। কাছে গেলে ভুল ভাঙবে। হাত বাড়ালে চড়ুই পাখি হাতে লেগে যেতে পারে। এখানে এত কোলাহলেও এভাবে নিশ্চিন্তে রাত কাটায় চড়ুইয়ের দল। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নামতেই গাছগুলো পাখিতে ভরে ওঠে। ভোর হলে তারা চলে যায় দূরে কোথাও। নূর ম্যানশনের পরিচালক আক্তার হোসেন সোহেল গাছে গাছে হাঁড়ি বেঁধে দিলেও পাখিদের পাতায় বসে হাওয়া খেতেই যেন আনন্দ! সেখানে মাঝ রাতে গিয়ে দেখা যায়, কেউ ছবি- কেউ সেলফি তুলছেন পাখির সঙ্গে। পাখিরাও যেন পোজ দেয়ার জন্য নীরবে বসে আছে! কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার কলেজ শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের এই  রেস্তরাঁয় মাঝে মাঝে খেতে এসে বোনাস হিসেবে পাখি দেখে যাই। এত পাখি এক সঙ্গে দেখা যায় না। পাখি দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায়।  হাজী নূর ম্যানশনের পরিচালক আক্তার হোসেন সোহেল বলেন, ৮ বছর ধরে চড়ুই পাখিগুলো এখানে অবস্থান করছে। তাদের যেন কেউ উৎপাত না করে সেদিকে খেয়াল রাখি। তারা নিরাপদ ভেবেই হয়ত এখানে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর