সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মেরুকরণ নারায়ণগঞ্জের ফলাফলে

উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ

রফিকুল ইসলাম রনি

মেরুকরণ নারায়ণগঞ্জের ফলাফলে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে আওয়ামী লীগে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় উজ্জীবিত দলের তৃণমূল। এ বিজয়ের প্রেরণা কাজে লাগিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে আগামী বছর জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর শুরু করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সফরকালে অন্যান্য কর্মসূচির ফাঁকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের খোঁজখবর নেওয়া হবে।   

দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের বিজয়ে দেশজুড়ে নেতা-কর্মীরা উদ্দীপ্ত হয়েছেন। এ নির্বাচন ক্ষমতাসীন দলের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। জনগণের ভোটে বেশ ভালোভাবেই সেই চ্যালেঞ্জে জিতেছে আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনে দুটি বিজয় হয়েছে ক্ষমতাসীনদের। একটি নৌকার বিজয়। অপরদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পেরে সরকার অর্জন করেছে আরেকটি বিজয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা দিন দিন যে বাড়ছে তা প্রমাণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো কারচুপি বা অনিয়মের জোরালো অভিযোগ তুলতে পারেনি। ফলে বলা যায়, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলের সমন্বয়ক কাজী জাফরউল্যাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের মতো একটি জায়গায় নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত কোনো পক্ষের এক বিন্দু রক্তপাতের ঘটনা ঘটেনি। এটি স্থানীয় নির্বাচনের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

দেশের নির্বাচন পরিচালনা সংশ্লিষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই দায়িত্বশীল ভূমিকা আগামীতে নির্বাচন ব্যবস্থার ইতিহাসে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। দলীয় সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আগামীতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ফসল ঘরে তুলতে চায় ক্ষমতাসীন দল।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে অনেক আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে নজিরবিহীন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগণ উন্নয়ন ও আস্থার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। এতে আবারও প্রমাণিত হলো দেশের মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে আছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নৌকা ও শেখ হাসিনার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হলে সবকিছু পারে এটা আরেকবার প্রমাণ হয়েছে।

এর মাধ্যমে তৃণমূলে নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছে। তৃণমূলকে আরও বেশি সংগঠিত করতে জানুয়ারি থেকেই আমরা সাংগঠনিক সফর শুরু করব।

তিনি আরও বলেন, ২২ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। এই বিজয়ের স্পিরিট নিয়ে আমরা টিমওয়ার্ক করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাব।

সর্বশেষ খবর