বাংলা নাম ‘বড় লালমাথা তোতা ঠোঁটি’। ইংরেজি নাম ‘গ্রেটার রুফাস হেডেড প্যারটবিল (Greater Rufous-headed Parrotbill)’। বৈজ্ঞানিক নাম Paradoxornis ruficeps। এরা ‘বড় লালমাথা’ নামেও পরিচিত। স্লিম গড়ন। ঠোঁট শক্ত, মজবুত ধারালো। অনেকটাই তোতা প্রজাতি পাখিদের মতো। প্রাকৃতিক আবাসস্থল ক্রান্তীয় আর্দ্র নিম্নভূমির বন এবং পার্বত্য অরণ্য। এ ছাড়াও সুচালো চিরহরিৎ বন অথবা বাঁশবনে এরা বিচরণ করে জোড়ায় জোড়ায় কিংবা ৪-৬টির ছোট দলে। এদের গানের গলা বেশ ভালো। আড়ালে-আবডালে থেকে গান গায়। এ সময় মাথার পালক দাঁড়িয়ে যায়। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ পাখির হাঁকডাক বেড়ে যায়।
বড় লালমাথা তোতা ঠোঁটির বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার, চীন (ইউনান) লাওস, ভিয়েতনাম। বিশ্বব্যাপী হুমকি না হলেও প্রজাতিটি ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ পাখি দৈর্ঘ্যে ১৯-১৯.৫ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। শরীরের তুলনায় মাথা খানিকটা বড়। গোলাকার মাথা লালচে-বাদামি। ঘাড়ে হালকা হলদে টান। পিঠ বাদামি। ডানা ও লেজ গাঢ় বাদামি। গলার সাদাটান ঘাড়ে মিশেছে। গলার নিচ থেকে বস্তিপ্রদেশ পর্যন্ত ধূসর সাদা। লেজতল বাদামি। চোখের মণি কালো, বলয় সাদাটে। ঠোঁট খাটো, শক্ত মজবুত। পা কালচে। এদের প্রধান খাবার ছোট পোকামাকড়, বীজ ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে অক্টোবর। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। ভূমি থেকে ২-৩ মিটার উচ্চতায় নলখাগড়া কিংবা ঝাড়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২-৪টি। ফুটতে সময় লাগে ১৫-১৭ দিন।