সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার। গতকাল এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এদিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষেও জামিন দেওয়া হয়নি নাজমুলকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবদুল আওয়াল তাকে আদালতে হাজির করে পুনরায় পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ২ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার বিবৃতিতে বলেছে, আশুলিয়ার শ্রমিকদের কর্মবিরতি কর্মসূচির সংবাদ প্রকাশের কারণে ২৩ ডিসেম্বর রাতে নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়। দ্রুত তার মুক্তি দাবি করা হচ্ছে। এর আগে ২৭ ডিসেম্বর পুলিশ দুই দিনের রিমান্ডে নেয় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাভারের এই প্রতিনিধিকে। রিমান্ড শেষে গতকাল ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় শুনানির দিন ধার্য করে নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন মহানগর হাকিম ফাইরুজ তাসনীম। নাজমুলের আইনজীবীরা অভিযোগ করে জানান, আদালত রিমান্ডে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তা না করে প্রথম দিন থেকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করেছে তাকে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। রিমান্ডে নিয়ে এ ধরনের নির্যাতন আইনের লঙ্ঘন। সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আশুলিয়ায় শ্রমিক আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে। ২৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে আশুলিয়া থানায় মামলা করার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। পুলিশের এ ধরনের আচরণে ওই দিনই বিস্ময় প্রকাশ করেন গণমাধ্যমসংশ্লিষ্টরা। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বহুল বিতর্কিত ৫৭ ধারায় আশুলিয়া থানা পুলিশের এসআই শাহাদাৎ হোসেন তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। পরে পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান দুই দিন মঞ্জুর করেন। শুনানিতে অংশ নিয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা ‘হয়রানিমূলক, সাজানো ও ব্যক্তি-গোষ্ঠী স্বার্থ চরিতার্থে’ মামলাটি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।