শিরোনাম
সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হোক

—ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড  বেগবান হোক

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চলমান ধারা নতুন বছরে বজায় থাকার প্রত্যাশা করেছেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও জাতিসংঘ উন্নয়ন নীতিমালা কমিটির সদস্য ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অর্থনীতির এই গুণী-বিশ্লেষকের মতে, অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ খাতের বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর দ্রুত অগ্রগতি হোক। বিনিয়োগের প্রতিকূলতা কাটিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হোক। এটিই আমার প্রত্যাশা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির বৈরী পরিবেশের           মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ভালো। বিশ্ব বাণিজ্যে মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কর সংগ্রহ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ফলে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা বেড়েছে। তবে রাজস্ব আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন কতটুকু হবে— সেটা দেখার বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এই শিক্ষকের মতে, বর্তমানে একটা নেতিবাচক দিক হলো শ্রমিকদের বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ নিম্নমুখী। এটা কিছুটা মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে শ্রমিকদের চাহিদা ও মজুরি কমে যাওয়ার প্রতিফলন হতে পারে। তবে রেমিট্যান্স বৈধপথে না এসে, দেশ থেকে পুঁজি পাচারে বেশি ব্যবহারের সম্ভাবনাও আছে। ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) এই চেয়ারম্যানের মতে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ছে এবং শিল্পে ঋণ প্রবাহ বাড়ছে। তবে সে ঋণ কতখানি উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার হচ্ছে, তা নিয়ে সংসয় আছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও জমি সংস্থানের সমস্যা ছাড়াও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সূচকগুলোতে আমাদের অবস্থানের উন্নতি না হয়ে কিছুটা অবনতি হয়েছে। প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে কার্যকর করে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকারি খাতের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়নে সক্ষমতার সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।

বিদ্যুৎ, অবকাঠামো ইত্যাদি খাতের বড় প্রকল্পগুলো দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এ প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন ও ঋণের শর্ত, ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া, কারিগরি নকশা, পরিবেশগত প্রভাবের সঠিক ও স্বচ্ছ মূল্যায়ন দরকার। তাহলে এগুলো নিয়ে বিতর্ক তৈরির সুযোগ কমবে। ।

সর্বশেষ খবর