শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

রেশমি সুতায় পাল্টে যাওয়া জীবন

পাবনা প্রতিনিধি

রেশমি সুতায় পাল্টে যাওয়া জীবন

রেশমি সুতা উৎপাদন করে পাবনার পাঁচ শতাধিক হতদরিদ্র নারী দারিদ্র্য বিমোচনের সুযোগ পেয়েছেন। সুতা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পাবনার বিভিন্ন গ্রামের ভূমিহীন নারীরা।

পাবনা রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলায় ৪৮৬ জন তুত গাছ চাষি রয়েছেন। পোকা পালনকারী রয়েছেন ৬৯ জন। পোকার খাদ্যের জন্য উৎপাদনশীল গাছ রয়েছে ৫ হাজার ৮১৫টি। মোট গাছ প্রায় ২৪ হাজার। প্রতি বছর ডিম পাওয়া যায় প্রায় ১৭ হাজার। গুটি বা সুতা পাওয়া যায় প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কেজি। প্রতি কেজি সুতার বাজার দর ২৫০ টাকা। এ সুতা বাজারে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ভূমিহীন নারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাবনার ঈশ্বরদীর রেশম বীজাগার ও রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জেলার সাঁথিয়া, দুলাই, গয়েশপুর, আটঘরিয়া, চাটমোহর, হরিপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের পাঁচ শতাধিক ভূমিহীন মহিলা পলু পালন শুরু করেন। পলু পোকার মূল খাদ্য তুত গাছের পাতা। এ কারণে রেশম বোর্ড থেকে তুত চাষের জন্য বিনামূল্যে চারা বিতরণ করা হয়। ভূমিহীন মহিলারা সরকারি সড়কের দুই পাশে তুত গাছ রোপণ করে পলু পোকার খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করেন। রেশমি সুতা উৎপাদনকারী গয়েশপুর গ্রামের লতিফা খাতুন জানান, একটি পলু পোকা ২৫০ থেকে ৩০০ ডিম দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে এক দিন লাগে। ১০০ পোকার ডিমকে মহিলারা ‘এক ধরা’ হিসাবে গণনা করেন। ২৫ দিনের মাথায় পলুর ডিম থেকে সুতার গুটি পাওয়া যায়।

পলু পোকা চাষ করতে পরিশ্রমের পাশাপাশি কিছু অর্থও ব্যয় করতে হয়। ফলে এর চাষের জন্য ভূমিহীন মহিলাদের মাঝে কৃষি ব্যাংক থেকে ১০-১২ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এ অর্থ দিয়ে তারা পোকা পালন, তুত গাছ রক্ষণাবেক্ষণ, গুটি ও সুতা উৎপাদনের জন্য চন্দ্রকী, ডালা, পোকার ঘর তৈরি, জালসহ বিভিন্ন উপকরণ খরিদ করেন।

সর্বশেষ খবর