সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এরশাদের রাডার দুর্নীতি মামলা নিষ্পত্তিতে আদেশ বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিলের নিষ্পত্তি করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়। এর ফলে মামলাটি বিচারিক আদালতে যেভাবে চলমান ছিল সেভাবেই চলবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে মামলার আরেক আসামি সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান সুলতান মাহমুদের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মামলাটি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ওঠে। গত ৭ নভেম্বর এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার কেনায় দুর্নীতির মামলায় পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণে দুদকের আবেদন খারিজ করে দেয় ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত। নিম্ন আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক। নিম্ন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি এখন যুক্তিতর্কের পর্যায়ে। মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এই মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। তবে দুদক ন্যায়বিচারের স্বার্থে বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া প্রয়োজন বলে আবেদন করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুটি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়। এরশাদ ও সুলতান মাহমুদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক।

 

সর্বশেষ খবর